আমি চৈত্র সংক্রান্তির কথা ভাবি না, যে আলো অথবা অন্ধকার চৈত্রচিতে পাড়ি জমিয়েছে অনন্তর লোক,
সে যেভাবে ভালো আছে,  সেভাবেই ভালো থাক;
আমি কেবল ভাবি আগামীকাল প্রাণের পহেলা বৈশাখ!


ইউশা-ঐশী, আরশির  তিন জোড়া হাত আমার হাতে..
মঙ্গল কাব্যের প্রাণের উচ্ছ্বাস মাখিয়ে নেবো, নববর্ষের
খেতাব দিবো, বন্ধু-স্বজনদের কাছ থেকে খেতাব নেবো,
একটার পর একটা কবিতা আবৃত্তির জোয়ারে ভাসতে
থাকবো, ভাসতেই থাকবো, অথচ এখন এসব কী শুনি!


আমি বিশ্বাস করি, সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয় না;
যে কেউ ইচ্ছে করলেই তা করতে পারেন না; সাগরের
ফেনা জমে জমে যেমনিভাবে পাহাড় হয়, পর্বত হয় –
সংস্কৃতিও তেমনি; প্রাণের কল্লোল কেউ থামিয়ে রাখতে
পারে না, যেমন থামিয়ে রাখতে পারে না জলপ্রপাত!


রূপান্তরিত উৎসমুখের মতো আমিও এখন খেই হারা,
অনেক সাধ্য সাধনা করে যদিও অনেক সময় উপমার
সাহায্য নিয়ে কবিতার ভাব আড়াল করতে পারি;
তেমনি কি আড়াল করতে পারি জরায়ুর উৎসমুখ..,
আড়াল করতে কি  পারি বাঙালির পহেলা  বৈশাখ?


পালে হাওয়া লাগা নৌকার মতোন সেও ফিরে আসে
শেকড়ের টানে, অলৌকিক অমৃতের ছোঁয়া দিয়ে দোলা
দেয় আমাদের সকল প্রাণে..
আবারও বলি, আমি চৈত্র সংক্রান্তির কথা ভাবি না;
যে চলে গেছে; সে সুখে থাক; আমি কেবল ভাবি আমার
প্রাণের স্পন্দন পহেলা বৈশাখ!!
--------------------------------------