ইলেকশনে সিলেকশন হলো শেখ মুজিব
তবুও দেবেনা বাংলার সিংহাসন পাকিস্তানী শাষকগণ।
এমতাবস্থায় মাওলানা ভাসানী মুজিব কে,
স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলল।
১৯৭১সনে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে
শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিল।
সারা বাংলার সকল জাতি একতাবদ্ধ হলো।
দিশেহারা পাকহানাদার বাহিনী
২৫শে মার্চ কালোরাত্রিরতে নির্বিচারে
হত্যা করলো বাঙালীদের কে এবং
সেই ভয়াল রাতে গ্রেফতার করলো
বাংলার মহান নেতা শেখমুজিব কে।
দলে দলে বাঙালী রা পাড়ি দিলো যুদ্ধের জন্য
  সীমান্তের ওপারে।
আশ্রয় নিলো সেলুনি বাড়িতে,
বিজয়ের নেশায় গর্জে উঠলো বীর বাঙালীরা-মন্ত্র-হলো
"মোরা একটি ফুল কে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি"
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি"
যুদ্ধ শুরু হলো,
মুক্তিবাহিনীর আঘাতে পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পরলো-
পরাজিত হলো।
যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ প্রাণ বিসর্জন দিলো।
বহু মা বোন ধর্ষিত হলো
বাংলার দামাল ছেলে ,মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে আনলো লাল সবুজের পতাকা।
বিজয় শেষে সবাই বাড়ি এলো-
কিন্তু এলো না গৌসল হুদা।
অসংখ্য লাশের সাথে গৌসল হুদার উলঙ্গ
লাশ ভাসছিলো বেড়ামোহনার বাঁকে বাঁকে।
বিভৎস এই দৃশ্য দেখে মুক্তি পাগলিনি জিকরা
পাড়ায় পাড়ায় প্রলাপ গেয়ে বেড়ালো
"স্বাধীনতা তুমি রবী ঠাকুরের  সোনার বাংলা
স্বাধীনতা তুমি  কবি নজরুলের বাবরী দোলানো ঝাকরা চুল"
আমার প্রেমিক দীপংকর।
স্বাধীনতা তোমার অপেক্ষার প্রহর গুনে
হিমিকা তার শাঁখা সিঁদুর মুছে জড়াজীর্ণ
মাটির মন্দিরে দীর্ঘ কৃষ্ণরাত্রিতে
তপস্যারত ছিল স্বাধীনতার প্রতীক্ষায়।
মুক্তি পাগলিনী জিকরা বজ্রকন্ঠে বললো
হে স্বাধীনতা তুমি বীরাঙ্গনার সুসন্তান।