নর্দমার গন্ধমাখা, দরমার ঘরেতে ঢাকা,
রূপসীর কোমল শরীর, সেদিন দেখেনি কেউ!
ভাবেনি কেউ কোনোদিনও কমলের সৌন্দর্য্য
ছড়িয়ে পড়বে তার দেহে!
ভাবেনি সে নিজেও, অভূক্ত শূয়োরের দল
ঘ্রাণ নেবে শরীরের নাভি অংক দেশের!
রাস্তার নেড়ী কুকুরের দল, চেঁঠে নেবে,
ধেয়ে আসা দূরন্ত কৈশর!
অলীক স্বপ্নভরা চোখ, শুরুতেই দেখেছে
অন্ধকারের পথ।
শরীরের লেখাঝোকায়,দ্রুত পায়ে হাঁটতে
চেয়েছে সে।
চোখে তার হিমালয়ের সুউচ্চ শিখর।


অন্ধকার রাতের ইশারা, দেহ মনে ছেয়ে গেছে তার।
এসেছে ফুটন্ত যৌবন!
মেহেরুন্নীসার চোখ, আজ তার চোখে।
ধূর্তশেয়াল আর সেয়ানা কুকুরদের সাথ আছে সাথে
আকাঙক্ষা,বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে যাবে মসনদে।
দেহে তার লিলিথের তীব্র যৌন-ঊন্মাদনা।
সমাজ-সভ্যতা-দেশ কিছুই মানে না।
পামেলার রাজকীয় সুখের নেশা আজ তার চোখে।
বুঝেছে সে,মুখোশী সভ্যদের বিচার হয় না।
অসভ্যেরা ঘুরে ফেরে অবলেশে।
শুধু মার খায় ওরা, যারা না অসভ্য হতে পারে,
না সভ্যের হাত ধরে।
তাই আজ সে পত্নী নয়, মহীয়সী নারী হতে চায় একেবারে।