নির্জন এক প্রান্তর, ধূ -ধূ  করা মাঠ,
এখানে ওখানে, দু একটা খেঁজুর-বাবলার গাছ।
গ্রীষ্ম মধ্যাহ্নের নিঝুম দ্বিপ্রহর।
প্রাচীন বটের তলে, ঝুরি বেষ্টিত অন্ধকারে,
মুঠোফোনে "নীল চিত্র" দেখিতেছিল সঙ্গোপনে,
গ্রাম্য যুবক ক'জন।
সহসা তরুণী এক, কৃষকের ঘরের
যাইতেছিলত্রস্তপদে,                                                                     আধমরা ঘাসের বোঝা লয়ে,
সকাল হতে কেটেছিল যারে,
অবলা গর্ভবতী পশুটির তরে,
খাল-বিল-শুস্ক জলাশয়ের ধারে
ধারালো কাস্তে ছিল তার হাতে।
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সে,
আনমনে, দাঁড়াইল ক্ষণকাল,
বটবৃক্ষের শীতল ছায়াতে।
মুছিতে ছিল ঘর্মাক্ত দেহ
উন্মুক্ত শাড়ির অঞ্চলে।
সহ্সা ব্যাঘ্রের গতিতে,
ঝাঁপাইল যুবক একে একে, হিংস্র নেশাতে,
তরুণীর লোলুপ, নিস্পাপ দেহেতে।
ভয়ংঙ্কর, পাশবিক যুদ্ধে, ব্যার্থ চিত্কারে,
ধর্ষিতা তরুণী মুর্ছাগত হইল ক্ষণেকে
প্রাচীন বটবৃক্ষের তলেতে।
ভীত, সন্ত্রস্ত যুবকের দল,
পালাইল সত্বর।
পরদিন কাক ভোরে,
দেখিল গাঁয়ের সকলে,
গলেতে রশ্মিবাধা তরুণী ঝুলিছে
সেই বটবৃক্ষের শাখাতে।
যেই বট সোচ্চার হয়েছিল সেদিন
"রামায়ণে" সীতার কারণে।
আজ সে নীরব কেন?
কেন সে নিজকে অগ্নিদগ্ধ করিলনা
এ কলঙ্কিত অধ্যায়ে,
এ শৈরাচারী সমাজের পাশবিক অত্যাচারে?
শুনিলাম, যুবকের মধ্যে এক ছিল
এম এল এর ছেলে।
হাইটেক টেকনলজি, বিপর্যস্ত হইল আজ
বোবা বটের তলেতে।