সেদিন তুমি রঙ মেখেছিলে, ফাগুনের বনে।
বসন্তের শেষ আহ্বানে, পলাশের হাসিতে,
গেয়েছিলে 'সেই গান' আপন মনেতে।
প্রেমের অনুভূতির ছায়াতে,
উন্মুক্ত হাওয়াকে জড়িয়ে, তুমি বলেছিলে,
" হে প্রেম-উন্মাদ হাওয়া, রেখে যাও
এ রক্তিম বসন্তেরে-চিরতরে
আমার হৃদয় মাঝারে।
উড়িয়ে নিও না ওরে, চৈত্রের দাবদাহে।"


ক্ষণকাল স্তব্ধ হাওয়া, দেখিল তোমাকে,
হাসিল উচ্চস্বরে,বলিল ধীরে ধীরে তোমার কানেতে,
" ওরে পাগল! প্রেম যদি চিরতরে
থাকে বসন্তেরে জড়ায়ে,
বিরহ কি করিবে হায়! বসিয়া বিজনে!
তাই আমি ধেয়ে চলি খুঁজিতে
বিরহ-বিদুর, ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত, চৈত্রেরে।"


তপ্ত বিরহে ব্যকুল চৈত্র,
"কোথা প্রেম! কোথা প্রেম!"
হায়! হায়! ক'রে।
চৈত্রের বিরহ যন্ত্রনা,
বৈশাখের ঝোড়ো হাওয়ায় উঠিবে গগনে।
যক্ষের বিরহ হয়ে ঘুরিবে শ্রাবণে।


পরিশেষে, প্রেমের গন্ধ আসিবে
শরতের সন্নিধানে।
হেমন্তের কুহেলিকা পেরিয়ে
শীতের রাতেতে দেখিবে উঁকি মেরে
প্রেম রাঙা, রঙিন বসন্ত এসেছে
তোমার দুয়ারে।


আমি সেই উন্মাদ হাওয়া
বলিব তোমার কানে কানে,
কোয়েলের কুহুতানে,
" এসেছি গো নিয়ে, তোমার প্রেমেরে,
প্রেমাভিসারের তরে,
সূদীর্ঘ একটি বছর 'পরে।"