পৃথিবীর সমস্ত ইচ্ছা গুলি জমা হয়
ধীরে ধীরে মনের গহনে।
নিঝুম রাতেতে, যেমন,
কপোত- কপোতি ভাবে বসে
অন্ধকারময় ছোট্ট ঘরের কানাচে।
দূর আকাশের বুক চিরে গাড় অন্ধকার
নেমে আসে পৃথিবীর বুকে।
যেমন নেমেছিল, বরষার কালোমেঘ
কালিদহ জলে।
পুঁঞ্জীভূত ইচ্ছা গুলি ধীরে ধীরে জাগে
দূর বনানীর অন্তঃরালে।
জোনাকির আলো তাই ইশারাতে বলে,
" মুক্ত করো! মুক্ত করো!
যে ইচ্ছা জমা আছে মনের গভীরে!"
ইচ্ছার ডানা যেই মিলিল পাখা
দেখিল সে নিজকে,বেষ্টিত চারিদিকে,
বিশাল বটবৃক্ষের ব্যপ্ত শাখায়।
ঝিঁ ঝিঁ পোকার নিরন্তর রোদনে,
হারিয়ে যেতেছে সে-
নিরাশার অতল সাগরে।
সহসা দেখিল সে, দাঁড়ায়ে রয়েছে সেথা
সূদীর্ঘ কায়াময় তমালের বন।
অট্টহাস্য করিছে তাঁরা
তাহারে দেখিল যখন।
কে ছিল তাঁরা! ইচ্ছার মরে যাওয়া অতীত!
না ভবিষ্যতের ঝলকানি!
আবার ঘুমন্ত ইচ্ছা ছাড়াইল জট।
চলিল সে অনেক দূর অন্ধকার পথ।
রূপসার জল ছিল তখনও নিথর।
ভাগীরথির জলে ছিল বড় বালুচর।
হাঁটিল সে অনেক দূর গহন বনেতে।
হিজল-বকুল-অশোক-পলাশ আর
কৃষ্ণচুঁড়ার দেশেতে- বসন্ত খুঁজিতে।
মুচকিহাসিল তাঁরা, ব্যাঙ্গের ভঙ্গিতে।
সহসা ইচ্ছা সব মুদিল আঁখি।
জোনাকিরা গেছে চলে
এল প্রভাতি।