সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর আর্ত চিত্কার শুনেছ কি কখনও!
সে আর্তনাদ নয়, আনন্দভরা রোদনে
প্রকাশ ক'রে সে একটাই ভাষা,
"মা" "মা" আর "মা" ডাকে।
পৃথিবীর প্রথম স্পষ্ট ভাষা বেরিয়ে আসে
নবজাত শিশুর অন্তরের অন্তঃস্থল হতে।
খুশীর অশ্রুভরা পিট পিটে দু'টি চোখ
ধরিত্রীর প্রথম আলোকে
খুঁজে ছিল কাহাকে?
সেই মহিয়সী নারীকে।
যাঁর আসহনীয় কষ্ঠের প্রতিরূপ সে।
তার সেই অনিন্দ সুন্দর, প্রেম-সুধাময়,
কোমল শ্রুতিমধুর ভাষাকে
চির তরে স্তব্ধ করে দিতে এসেছিল ওরা।
কূটিল চক্রান্ত আর পৈশাচিক তান্ডবে
রক্তাক্ত হয়েছিল ধূলি,
ছিন্ন ভিন্ন করেছিল মাতৃ বসন
শত-সহস্র শিশুর রোরুদ্য ঐক্যতানে
হৃদয় কেঁপেছিল তাঁর যুব-সন্তানের।
শিশুর মুখের প্রথম ভাষাকে
তাঁরা এনেছিল ফিরায়ে, রক্তের ধারাতে।


সেই স্বাধীন মাতৃভাষা আজও কাঁদে,
তোমার অন্তরে, আমার হিয়াতে,
কেবলি ওদের তরে।
যাদের ঘৃণ্য প্রচেষ্ঠা আজও খেলা করে,
মধুময় ভাষাকে, শিশুর মুখের থেকে কেড়ে নিয়ে
বিদেশী ভাষাতে "মাম্মী" শেখায় জোর ক'রে।


ধন্য তিনি! যিনি বিদেশের বুকে বসে,
মাতৃভাষায় করেন মাতৃত্বের বন্দন।
আজকের দিনে,তিনিই নির্ভীক।
তিনিই মহান।হে বঙ্গ-সন্তান,
তোমারে জানাই, আমার শত সহস্র প্রনাম।
সমৃদ্ধ সেই ভাষা,যে ভাষাতে রুচি থাকে সকলের।
ধন্য হয় সেই মাতা,"মা" বলে ডাকে সন্তান যেই ভাষাতে।



বিঃদ্রঃ- ভাষা দিবশের প্রাক কালে, এটি আমার সবিনয় নিবেদন।