সকালের নির্মল নীল আকাশ
রূদ্ধ শ্বাসে প্রতীক্ষা করছিল,
ভোরের কোমল সূর্য্যটা প্রহর গুনছিল
প্রভাতী সমুদ্র কল্লোলহীন প্রবাহে- ধীর স্থির।
উঁচু উঁচু পর্বত শিখর স্তম্ভিত।
যেন জোয়ালামুখী ফেটে পড়ার আগের মূহুর্ত।
ধরিত্রীর বুকে স্বতেজতার নব হিল্লোল।
মন্দির মসজিদ চার্চে উদাক্ত আহ্বান ধ্বনী।
ঘড়ির পেন্ডুলাম উচ্চস্বরে বলে ওঠে,
"ওই দ্যাখ,দেহেতে আসছে আঠারোর প্রতিধ্বনী।"
তাই বুঝি, শিরা-উপশিরার মধ্যে
রক্ত কণিকার দূরন্ত গতি।
আকাশ পানে উড়ে যাওয়ার উন্মত্ত মতি।
নিজকে প্রকাশ করার প্রবল আকুতি।
স্বপ্নভরা চোখে প্রেমের ব্যর্থ প্রতিশ্রুতি।
নিদারুণ উচ্ছাসে, দেশ গড়ার দুঃসাহিক গতি।
যোশে ভরা আঠারো এসেছে এ-দেহে
"ধরো,ধরো" ওর লাগামটা কষে
নিয়ে চলো ওরে সঠিক দিশাতে।