সকালের প্রথম সূর্য্যের আলো
কাঞ্চনজংঘা পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে
উপচে পড়েছিল তোমার মুখের উপর।
পূর্ণিমার উদীয়মান চাঁদের মতন
লাবণ্যে লাল হয়ে উঠেছিল- তোমার মুখটা।
চমকে উঠেছিলাম আমি,
এ কোন মায়াবী নারী!
আরব্য রজনীর গোলাপী সুন্দুরীর মতন
এক অর্নিবচনীয় সৌন্দর্য্যে হারিয়ে গেছিলে তুমি।
চোখের কাজলে ফুটে উঠেছিল-
এক বিরামহীন চঞ্চলতা।
মনহারিয়েগেছিল কাঞ্চনজংঘার সবুজায়নের  স্বতেজতায়
লাল নীল ফুলেদের সাথে মাথা নাড় ছিলে তুমি।
দুটি হাত তুলে পাখীদের সাথে, উড়ে যেতে চাইছিলে
সুদূর আকাশে- ডানা মেলে - অনন্ত খুশীতে।
এলোচুল উড়িয়ে একরাশ খোলা হাওয়া
তোমার কানে কানে বলে গেল-
"বসন্ত এসেছে পরাণে।"
নব বসন্তে হিল্ললিত যৌবন
উচ্ছোসিত কন্ঠে বলে ওঠে--
"আমি হারিয়ে যেতে চাই।ফুরিয়ে যেতে চাই
এই নীল আকাশ, এই উন্মত্ত বাতাস,
এই ফুলে ফুলে ভরা সুন্দর সবুজ পাহাড়ে।"
তোমার এই আনন্দ উচ্ছোসিত কন্ঠ্স্বর
ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হল সারা পাহাড়ময়।
প্রভাতের নবারুন, তোমার আনন্দ বিহ্বল প্রতিচ্ছবিকে
প্রতিকৃতি করে রাখল-- "মোনালিসা'র মতন"
কাঞ্চনজংঘার দেহতে......চির স্মৃতি করে।