সকালের আবহাওয়াটা বড় ভালো লাগে।
পাখীর কুজন আর শান্ত পরিবেশে,
সূর্যের স্নিগ্ধ আলো চোখে ভরে নিয়ে,
নির্মল হাওয়াদের কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে,
হেঁটে চলেছি,তুমি আমি দু'জনে,শহরের পিছনের রাস্তাতে।


হঠাত্ সামনে এক কালো বিড়াল দেখে।
বললে তুমি,"একটু থামো, যেও না কো আগে।
কালো বিড়ালটা পথ কেটে গেছে!
যেও না, অমঙ্গল হবে।"
থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। চেয়ে দেখি রাস্তাটা-গভীর বিস্ময়ে!
দাগ তো পড়েনি কোত্থাও! যদি বিড়ালটা কেটে গেছে পথ!


ঐ যে সর্বহারা লোকটা, হেঁটে গেলো এইক্ষণে;
ওর কি হারিয়ে যাওয়ার আরো কিছু বাকী আছে!
না বিপরীতার্থে ওর মঙ্গল হবে! পাবে বহু কিছু!
মনে মনে শ্রীমুখ পানে চেয়ে ভাবি অনেক কিছু।


সেদিন ক'টা কালো বিড়াল কেটে ছিল মুম্বাই-এর  রেল পথ!
কতগুলো কালো বিড়াল ও দিন কেটে ছিল "ভুজের" সমস্ত পথ!
সেদিন নিশুতি রাতে,দিল্লীর রাজ পথে,
যখন হেঁটেছিল নির্ভয়া,প্রেমিকের সাথে,
তারাও কি দেখেছিল, কালো বিড়াল কেটে ছিল পথ!


আজও এত অন্ধ সংস্কার চোখে কেন প্রিয়?
যেদিন ঘরেতে মাছ ভাজো,সেদিন কি কালো বিড়াল ঘরে কাটে নাই পথ?
এটা যদি কালো না হয়ে, সাদা বিড়াল হতো!
তুমি তো হেঁটে যেতে পথ। ভাবতে কি মনে অত-শত!


পশুদের বর্ণ নিয়ে কেন এত কু-ভাবো?
মানুষের মধ্যেও কি তবে, এখনও এই হীন ভাবনা রাখো!
তাকিয়ে দেখো, পৃথিবীতে আজ কত আলো।
মনের দরজাটা খোলো, মুক্ত প্রাণে হেঁটে চলো।
ভেবোনা অত-শত।