এখানে নয় অন্য কোথাও


তারপর একদিন ছোট্ট এক পাখি হয়ে
উড়ে যাবো মহাশূন্যে!
অন্ধকার পাড়ি দিতে দিতে
একদিন পৌঁছে যাবো আলোর সমুদ্রে।
তখন আমি হয়তো রক্ত মাংসে গড়া
শারীরিক অবয়বের  মানুষ নই।
তখন আমি কেবল
এক উজ্জ্বল আলোর ঝংকার।
স্রষ্টার সান্নিধ্যে জীবন নামক রঙ্গমঞ্চ হতে
মুক্ত হয়ে কৃতজ্ঞতায় লুটিয়ে পড়বো
পরমের কাছে।
ওখানে আর হতাশা নেই।
নিজেকে তিলে তিলে কষ্ট দেয়া নেই ।
নেই মানুষ নামক  অসুরের কোন ছায়া।
পৃথিবীর পথে যারা তৈরি করে
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ,
নিজ স্বার্থ চরিতার্থের হীন মনে
অন্যায় আর জুলুম করে মানব জীবন নিয়ে
হোলি খেলে।
তেমন অসুর একটাও নেই আর কোথাও।
তখন চারিদিকে পবিত্র আলো।
কোন লোভ নেই, হিংসা নেই।
পবিত্র আত্মারা ঘুরছে ফিরছে
এখানে-ওখানে,
সবুজে-মায়ায়,
কেবল শুদ্ধ প্রাণের উৎসবে,
স্রষ্টার জয়গানে।
আহা!
পাখির মতো ছুটে বেড়ানো প্রাণেরা!
কেবল স্বর্গের অপেক্ষা কেন?  
একটা মানুষ তার নির্ভেজাল মায়ায়
তার পাশের-কাছের মানুষদের মাঝে
স্বর্গ এনে দিতে পারে এই পৃথিবীতেই।
কেন তবু এমন হয়?
মানুষ হয়ে অসুর হয়।
মানব জীবনে কেন এনে দেয়
নরক যন্ত্রণা.....