সোনালী নামের মেয়েটি( নাম পরিবর্তিত)
      
ওই যে দূরে দাঁড়িয়ে  আছে,                                             অ্যাসিড আক্রান্ত  মেয়েটি,  
ঝলসানো  মুখটি, মাথার প্রায় অর্ধেক  চুল নেই,
বাম দিকের কানটি  প্রায় হারিয়ে ফেলেছে,
যেন মুখমণ্ডলটি একটা সাদা পাতলা ওড়নায় ঢাকা,
সে মেয়েটি সোনালী।


চৌদ্দ বছর বয়সে তার রূপ ছিল, যৌবন  ছিল,  
লম্বা লম্বা চুল ছিল,আর ছিল দুচোখে অঢেল স্বপ্ন।
যে মেয়েটির জন্যে বাড়িটা অশান্ত  হয়ে উঠেছিল,
সেই মেয়েটির জন্য বাড়িটি শান্ত হয়ে গেছে,
সে মেয়েটি সোনালী।


তুমি দেখতে পাচ্ছো  ওই মেয়েটির দু-চোখের কান্না,
নদীর স্রোতের মতো  গড়িয়ে পড়ছে মুখের ওপর,
সে কান্না অতীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে তাকে,
এইতো সে-দিন,
বান্ধবীদের সঙ্গে কলেজে ভর্তি  হয়েছিল,
প্রথম বছর  ভালোই কেটেছিল কলেজের দিনগুলি।
সে মেয়েটির নাম সোনালী।


যে ছেলেটা, মদ্যপান  করতো,  গাঁজার ধোঁয়া  পান করতো, জুয়ো  খেলত,
সে শিক্ষিত  বোকাটে  ছেলের প্রেমে পড়েছিল  পাগলিটা।
পাগলি টা না জেনেই ভালবেসেছিল  
ছেলেটিকে।
সেই পথ থেকে ফিরেয়ে আনার চেষ্টা,
আর ব্যর্থতার গ্লানি থেকে দূরে সরে যাওয়া ছিল মেয়েটির অপরাধ।
প্রতিশোধের আগুনে ছুঁড়ল অ্যাসিড,
মেয়েটির দগ্ধ হল মুখ।
ব্যথা, আর্তনাদ জীবনের একাকীত্বে  দাঁড়িয়ে মেয়েটি সোনালী।