গভীর রাতে অভাগী  কে কারা যেন তুলে নিয়ে গেলো রেললাইনের ঝোপের ধারে।
অভাগীর  কণ্ঠস্বর থেকে  ভেসে এসেছিল বাঁচাও বাঁচাও....বাঁ....   চা....ও.... ও....।
কে  যেন বলেছিল এই শালি  চুপ  নইলে গুলি করে দিবো।
অভাগীর কাকুতিমিনতি   শুনে নি তারা,
বাতাসে ভেসে এলো একটি গুলির শব্দ, তার কিছুক্ষণ  পরে আরেকটি।
অভাগী  কণ্ঠস্বর  ধীর থেকে ধীরতম হলো,
চারিদিক  যেন আবার শান্ত হয়ে এলো।
আমি ভয়ে সারারাত ধরে  রেললাইনের ধারে, ল্যাম্পপোস্ট আলোর নীচে  কাঁদতে কাঁদতে কখন যেন ঘুমিয়ে  পরেছি ।
প্রাণের থেকে প্রিয় অভাগী কে হারিয়ে ছিলাম সেই রাতে, আমি সেই মেয়ে।


অভাগী কে হারিয়ে গতিশীল  মানবসভ্যতার ভীড়ের মধ্যে আমি একা।
আমি ক্ষুধাতুর,  আমার অস্তিত্বের জন্য আমি সংগ্রামী, আমি নির্লজ্জ্।
ভীড়ের মধ্যে আমাকে গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে  বলতে হয়েছে 'দাও না গো আমাকে দুটি পয়সা, আমি সারাদিন কিছু খায়নি, আমি ভাত খাব'।
আমাকে চোরের অপরাধে গাছে বেঁধে  জুতো দিয়ে পিটানো  হয়েছে,  অর্ধেক  মাথা ন্যাড়া  করে, কালো কালি দিয়ে চোর লিখে রাস্তায় ছেঁড়ে দিয়েছে।
দুর্বিনীত হয়ে আমি আবার চুরি  করেছি।
মানব সভ্যতার  মানুষ দের কাছে পালাতে পালাতে আমি  অবসন্ন  হয়ে পড়েছি।
পরিশ্রান্ত  হয়ে বাসের নীচে চাপা পড়ে রক্তাক্ত  হয়ে নিমজ্জিত  হয়েছি,  আমি সেই  মেয়ে।


সময়- রাত্রি  ১১টা ০৩ মিনিট,  তং-১০/০২ /২০১৭