ছোট্ট মেয়ের বিয়ে(মেয়ের আর্তনাদ)


-l
    
মাগো আমি করবো না তো বিয়ে,
আমি তো সবে তের।
বাবা কে বল না মা,  না দেয় যেন আমার বিয়ে।
কিসের ভয় বলনা মা তোর,
তোর মেয়ে কালো বলে করবে না  কেউ বিয়ে,
যাক গে  এমন বিয়ে না করলাম তবে।


বুঝলি না মা আমার স্বপ্নটারে, দিয়ে দিবি বিয়ে,
কষ্ট করে পড়ালি কেন ক্লাস  নাইন তবে।
বেশতো আছি মা তোকে নিয়ে,
ছুঁড়ে ফেলে দিবি কেন  মা অন্যের ঘরে মোরে ?
বল না মা চুপটি  কেন তুই ?
তুই কি আমায় বাসিস না ভাল,  
করতিস আদর মিছে তবে।


মা তুই থাকনা পাশে ভয় যে করে মনে,  
বিয়ে দিল এমন ছেলের সাথে ভাবতেই কেমন লাগে?
ছোট্ট বেলায় ডেকেছি  তারে ও পোকা দা,
বলতে পারিস মা কেমন করে করব বিয়ে  দাদার তরে।


চুপটি কেন মা, একটু পরে বিয়ে আমার,
বাবারে বলনা,  বিয়ে না হয় যেন আমার তরে।
ভাবছিস তুই থামলে বিয়ে, লোক হাসবে তোকে দেখে।
সে হাসুক,  থাকবে তোর মেয়ে সুখে তোরই  পাশে থেকে।
বিদায় বেলায় কাঁদছিস কেন মা তুই,
এবার তো তুই থাকবি সুখে আমায় একা রেখে।


মা তুই এসেছিস দেখতে আমায় আমি কেমন আছি?
বড্ড ভালো আছি মা তোরে ছাড়া,
তোর  প্রাণের মেয়ের ছোট্ট হাতে করছে কত কাজ- সকাল বিকেল আর  সন্ধ্যে।
রাতের বেলার মজার ব্যাপার দেখতিস যদি চেয়ে,
শুনলে পারে হাসিও আসে, খেতে হয় নাকি স্বামির পরে, বুঝলি মা।
স্বামি আমার বড্ড ভাল , রাত দুপুর এসে বলে দে মাগি এবার খেতে দে।
মদের গন্ধে প্রাণটা  যায় যায় , তবুও দিই খেতে তড়িঘড়ি।
তুই ভাবিস না এমন যেন স্বামি বলে এমন করি,
ঠিক তা নয় মা, খাওয়া শেষে পাবো খেতে তাইতো  এমন করি।
কাঁদিস কেন  মা? এমন সুখ পাবে কজন বলনা  মা।


মাগো  আমি যাবো না  ওদের বাড়ি, থাকব তোরই কাছে পরে,
যাব আমি স্কুলে, পড়ে অনেক বড় হবো।
আমায় দেখে হাসল সবাই, বলল দশে দেখো  আধুনিকা মেয়ে, খাবে নাকো বরের ভাত।
তাইতো  পোকা জোর করে তুলল আমায় স্কুল  যাবার কোলে।
বলল সবাই তুলেছে নিজের বউকে অন্য কাউ কে নয়।
মনের কষ্ট বুঝলে  না কেউ মা,শেষে পেলাম তকমা মেয়ে আমি আধুনিকা।