এক কল্প  অপরাহ্ণে  পালতোলা নৌকায় ভেসে চলেছে শৈবলিনীর উপকূল তটে অলীক  মানবী  ।
সেই গোলাপী  দৃষ্টি, লাল রঙের ঠোঁট,
এক ফালি রোদ অনুধাবন করে তোমার আননে,
সাদা ওড়নায় আচ্ছন্নে বেরিয়ে এলো শুভ্র সুরৎ।
এই তো দেখছি ভেসে যাওয়া রমণী আর  কেউ নয়,
আমার হারিয়ে যাওয়া, আমার সোহাগ, আমার নীলাঞ্জনা।


নীলাঞ্জনা তোমার ওই নীলাভ ওষ্ঠে, আমার ঠোঁটের আলতো  ছোঁয়া কতদিন স্পর্শ করেনি, তোমার মনে আছে?
কতদিন  তুমি আমার কোলে মাথা রেখে তোমার শান্তির শয়ন হয়ে ওঠে নি,
তা তোমার মনে আছে?
আমাকে জড়িয়ে ধরে বলো নি , জানো , আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি?
জানো,   অনেকদিন  বলা হয়ে ওঠে নি,
আমার দুই হাত বিস্তৃত করে এতটা এতটা ভালবাসি, বোধহয়  তারও বেশি।
কতদিন তোমার আলতো হাতের চড় খেয়ে,  শোনা হয়নি যা মিথ্যুক কোথাকার, বদমাশ।


তোমার কোলবরে নিজেকে আচ্ছন্ন করে আমি যে স্বর্গের খোঁজ পেয়েছিলাম তা অতঃপর।
তোমার গতরের উদ্ভট ঘ্রাণ, কায়ার আচ্ছন্ন মৃগতৃষ্ণা, অন্তরের আত্ততায় আজও প্রলুব্ধ করে।
অনন্বিত চিত্তে ভালবাসার প্রলোভনে  নীলাঞ্জনা তোমাকে  নতুন  করে হারিয়ে ফেলা,
বারবার  পুরানো স্মৃতি গুচ্ছ চোখের সামনে ঘোরাঘুরি  করে এলোমেলো চিন্তায়।
নীলাচল আকাশে অনাশ্রিত পাখি হয়ে, নীলাঞ্জনা তোমাকে স্মৃতির পাতায় রেখে পৃথিবীর বুকে আমি একা প্রস্থান  করিব।
৬/০৫/২০১৭