দেখেছ কি একটি ছোট গোলাপের কুঁড়ি
জলে ভেসে যেতে, সবার অগোচরে
নির্লোভ স্রোতে নিষ্পাপ একটি গোলাপ
উচ্ছল, শীতল সমীরের সোহাগে আদরে


জানতে চেয়েছ কি, কে ভাসিয়েছে
কার উদ্দেশ্যে, কী তাদের অভিমান
কেনই বা গোলাপ, তাও একটি মাত্র
নিশ্চয় অভ্যাসে করেছ কিছু অনুমান


ভেবেছ, যে ভাসিয়েছে সে জানে না
তাকে, যে পাবে, যে চেনে না তাকে
যে ভাসিয়েছে ... সেই মানব ও মানবী
হারিয়ে গিয়েছে কি কল্পনার জটিল পাকে


না জেনে কে কী আশা রাখে ঐ গোলাপে
তোমার অবতারণা কি শুধু এইটুকু নিয়ে
না কি রচেছ রোমাঞ্চকর কোন রূপকথা
ভিত্তিহীন কল্পনায়, কামনার রঙে রাঙিয়ে


ভেবো না এত সব; শুধু চেয়ে দেখ
কত আদরে বুকে ভাসিয়ে গোলাপ
নিয়ে চলেছে স্রোতস্বিনী চাপা উল্লাসে,
আরও দেখ কত নিবিড় নির্ভরতায়
দোদুল গোলাপ চলেছে আহ্লাদী রাসে


ওদের এই পরিপূর্ণ সান্নিধ্য দেখে কি
মনে হয় ওরা এক দূত, ওপর বার্তা
প্রেষক হতে প্রেষিতার কাছে প্রেরিত
সুপ্ত বাসনার অভিলাষ গোপনীয়তায়
নিবারিত এক সাড়ে-চুয়াত্তর পত্র


আমি বলি – না |  যাও, চোখ ধুয়ে নাও
বয়ে যাওয়া ঐ গোলাপ নিষিক্ত জলে
যদি পাও তাতে গোলাপি সুগন্ধের রেশ
তবে জেনো, কিছুই যায় আসে না
কারো কাউকে পাঠানো গোলাপ হারানোয়
যখন সেই গোলাপ ভেসে সময়ের ধারায়
কোরক হতে প্রস্ফুটিত হয়, পাপড়ি মেলে
নিজের নির্যাস বিলিয়ে, নিজেকে হারায় ||


----------------------------
ইন্দ্রনীর / ০৫ অগাস্ট ২০১৪