অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের তীর ছুঁড়ে যায়
পৌষের পাঁচ ছুঁয়ে পূবে পশ্চিমে উত্তাপ ছড়ায়
ও নগেন, এও কি দেখা হবে?
বাহুবলের দাপটে কুপোকাত রাজাকার!
গেয়ে ওঠে নগেন্দ্রনাথ...
"বোলো হরি হরিবোল পিডাইওনা ভাঙ্গা ঢোল!"
কী সর্ব্বনেশে উপাধি ইন্দ্র! আমি কি অবাক হবো?
এসবে আর অবাক হইনে, আগ্রহ নেই খুব
দেখে দেখে চোখে সয়, অভ্যেসও হয়ে যায়!
তো হয়ে যাক, নাকি?
তখনই, এদিক-ওদিক দেখি
কেউ যেনো কেঁদেকুটে একাকার!
আবেগ জড়িত কণ্ঠ যেনো হৃদয় হতে উৎকীর্ণ
আহা! বড়ই মর্মস্পর্শী!
চালচিত্রে নির্মোহ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো ...
একই সময়ে
সেদিকের কেউ হাতের তালু ক্ষয়ে ফেলার উপক্রম!


আমি?
শুয়ে-বসে ভাবছি
হায়, এরা কত  বড় অভিনেতা!
এই ভাবনার মূল মস্তিষ্কপ্রসূত কুৎসা...


মন কী বলে?
মন বলে: "না, সে অভিনেতা নয়!"
চোখের জলে ভেসে ওঠে সৌন্দর্য, অনন্তর পবিত্রতা;
মূলত: মন বলে কিছু নাই
এটাও ঐ  মস্তিষ্কপ্রসূত সচ্চিন্তা!
খেলাটা স্নায়ুকোষের... ওরা বলে: "খেলা হবে"
তালুর নিচ পর্যন্ত গমনেচ্ছু অসাড়ের বিষয়টা বাদ দিই,
আর ঐসব অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ কিংবা বাহুবল প্রদর্শনী?
এ-সবই ষাঁড়ের পিঠে কাঁঠাল পড়ার মতন!
কালো-মনি,  এ দুটো চোখ মিথ্যে শোনেনি!
হ্যাঁ, শোনেনি! কখনও শোনেনি
তাহলে?
যার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
তার মগজেরচাষ হোক।।


পৌষের পাঁচ : ভোটার
___________________ রশিদ ভাই।


একুশ বারো একুশ