জানা গেলো______
যেই দোকান হইতে দড়ি ক্রয় করা হয়েছিলো, সেই দোকানের কর্মচারীকে ১৫ দিনের কারাবাস দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত!


আরও জানা গেলো যে, ধর্মতলা পরিষদের দালানটিকে রঙ্গিন করবার ঠিকাদারি দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি লোক! তাঁহার বিষয়ে 'কানামাছি ভোঁ ভোঁ' মঞ্চের মুখপাত্র অসুস্থকন্ঠ জ্ঞানগম্যি বলেছেন- "কৌশলী কেন ঠিকাদার?"
অবশ্য মঞ্চের অনেকেই এবিষয়ে বিস্ময়করভাবে বিব্রতভাব প্রকাশ করেছেন।


সং-ক্ষেপে পুরো ঘটনার বিবরণঃ


একজন উচ্চপদস্থ সরকারি লোকের তত্বাবধানে, ধর্মতলা পরিষদের চারতলা দালানটিকে রঙ্গিন করতে গিয়ে তিনজন শ্রমিক দড়ি ছিঁড়ে পড়ে যায়! দূর্ঘটনা কবলিত তিনজনই আহত, একজন গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানে উচ্চতর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়! এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে কর্তাবাবু যখন দেখতে পাইলেন যে, 'ঐ দড়িটাই ছিলো দু্ব্বল!' তখন তিনি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হরিচরণ ভারতানন্দ বাবুর দোকানে কর্মরত জ্যেষ্ঠ কর্মচারীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
ঘটনা সারাংশ ও বাস্তবতার নিরিখে শ্রী আম নারায়ণ বিবেকানন্দ বলছেন,
'' মালিক ভগবানতুল্য, তাকে জেলে না পাঠিয়ে-
অভাগা কর্মচারীকে ঠেলে দেওয়াই উত্তম!"


যাইহোক, এপর্যন্ত কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে ভগবানপক্ষের, থুক্কু! মালিক পক্ষের মতামত পাওয়া যায়নি! ঐদিকে কৌশলী সব্যসাচী নাটু কী বলছেন তা জানা না গেলেও পাঠক ঘটনার সবিশেষ জানলেন!!!


*** বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ


এই লেখার উদ্বৃতিসমূহ এবং ঘটনার বিবরণ সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক! আশাকরি সত্য মনে করিয়া কেহই কষ্ট পাইবেন না!! কেননা, বাস্তবের সহিত ইহার কোনপ্রকার যোগসূত্র নাই!! তথাপি, কোথাও মিলিয়া গেলে তা অনভিপ্রেত এবং কাকতালীয় বটে...!!!


প্রকৃতপক্ষে, গল্পবাজ রশিদ ভাই কল্পিত এই গল্পখানা কোনো দেশীয় বা আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত না হওয়ায় তিনি ভীষণ মনঃকষ্টে ভুগছেন! তাহার কষ্ট উপশমের নিমিত্তে এইভাবে প্রকাশ করিতে হইলো।


৩১ জুলাই ২০১৯