"পাকিস্তান জিন্দাবাদ"


স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বক্তব্যের শেষে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়ায় আব্বা তাকে নির্মিতব্য মহাসড়কে শতশত লোকের সামনে পিটিয়েছিলো।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে...
আব্বার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা হলো
সবুজ কালিতে লেখা হলো এজাহার।
সময়ের চাকা ঘুরতে ঘুরতে
নির্মাণ সম্পন্ন হলো মহাসড়কের;
সদ্যনির্মিত পিচঢালা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম স্লোগান দিয়ে যায় আব্বা: "রাজাকারের বিচার চাই!"
কন্ঠ মিলিয়ে স্লোগান ধরে জনগণ:
"বিচার চাই, বিচার চাই, রাজাকারের বিচার চাই"


প্রমাণের অভাবে হত্যাচেষ্টা মামলায় হেরে যায় রাজাকার। স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় লোকেরা ধীরে ধীরে জড়ো হয়, দলটাও বেশ বড়সড়-ভারী হয়
পরিশেষে, আব্বার দল চলে আসে ক্ষমতায়
বয়সের ভাড়ে আব্বা আজ শয্যাশায়ী।


আমি কৃষক
মেজো ভাই শ্রমিক
ছোটো ভাই ডাক্তার
রেনুকা আমজনতা নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
এখন আমার বড় ভাই বইনেরাই গদি চালায়।
সুপরিকল্পিত ভাবে আমারা এগিয়েও যাচ্ছি বেশ জমকালো সুখে, শান্তিতে বসবাস করছি সবাই!
তবুও, ভয় হয়!
এই সুখ যদি কপালে না সয়
কেননা,
আজকাল ওদের সাথেই আব্বার শত্রু, মানে সেই রাজাকারের সন্তানেরাও কাজ করে!
তারাও আজ কন্ঠ মিলিয়ে স্লোগান ধরে: "জয় বাংলা"
অথচ, আব্বার সময় এদের বাপ দাদারা চাচা-জ্যাঠাদের ধারের কাছেও চাপেনি!
ভাই বইনেরা ভুল করছে কিনা, জানা দরকার।


°
°
°
জয় বাংলা
________________ রশিদ ভাই
পঁচিশ বারো একুশ