হঠাৎ কথা থামিয়ে দিলে
তোমার আবার কি হয়েছে?
- নাহ, কিছুনা। লক্ষী ছেলে-
তোমার পাশেই বসে আছে।


কিছু একটা হয়েছে তো!
আমি কিন্তু ঠিক বুঝেছি!
- আরে নাহ! কি যে বলো-
ভাবছো শুধুই মিছেমিছি।


হাড়ে হাড়ে তোমায় চিনি
তারপরেও- কেন লুকাও?
- ও’রে আমার সোহাগী রে
কথা বলেই মন কেড়ে নাও!


লুকিয়ো না- খোলে বলো!
ওসব আমার ভাল্লাগেনা।
- বলছি সোনা সবুর করো!
পাগলি আমার রাগ করেনা।


সোজাসুজি বলে ফেলো
তোষামোদি এখন রাখো!
- তা না হলে করবে’টা কি?
দেখি- রেগে কেমন বকো?


আমি কিন্তু রেগে গেলাম
এখান ছেড়ে চলে যাবো!
- কোথায় যাবে একটু শুনি
যেখানে যাও পিছু নিবো।


ইচ্ছে আমার যেখানে যাই
তুমি কেন পিছু নিবে?
- আমার পাখি আমায় ছেড়ে
দেখবো কতো দূরে যাবে!


তোমার সাথে পারিনা আর-
হার মেনেছি। ক্ষমা করো!
- আরে আরে রাগ করোনা
রাগটা বুঝি ভীষণ বড়ো?


এবার সত্যিই চলে গেলাম
তবেই উচিৎ শিক্ষা হবে!
- যেও’না গো কান ধরেছি
তোমার হাতে ধরতে দিবে?


রোজ’তো ধরো সাধ মিটেনা?
কখনো তোমায় না বলেছি?
- মন ভরেনা একটু ছোঁয়ায়
না বলো’নি- তাই চেয়েছি।


আর কি চাওয়া জমে আছে?
বলো এবার চুমু খাবে?
- ইচ্ছে ছিলো বলেই দিলে
আদর পেলে বুক জুড়াবে।


আমার কোন আপত্তি নেই
যা খুশি তা করতে পারো!
- কখন যে কেউ দেখে ফেলে
পারবো’না গো ভয় এবারও।


পাগলামিটা বেশ বেড়েছে
তুমি এতো পাগল কেন?
- তোমার পাগল তোমার প্রেমে
সেটা তুমি ভালোই জানো!


জানি বলেই- বলছি শুনো
পাবনা থেকে আসো ঘুরে!
- প্রেমের পাগল চিকিৎসা নেই
তোমার কাছেই এলাম ফিরে।


বাহ! এখন প্রেমে হাবুডুবু
তবে কেন আমায় রাগাও?
- রাগলে তোমায় ভীষণ লাগে
রাতে যেমন প্রদীপ জ্বালাও।


০৬০৩২০১৬
প্রফেসর’স লজ।