মসজিদ থেকে বাড়ির দিকে শ'কদম এগুলেই দাদুর কবর
উনার সমান্তরালে পাশেই শুয়ে আছেন দাদি
যাদের কেবল শুনেছি, কখনো চোখে দেখিনি!
বাবা বলেছেন শেষজনের ঘুমের পরিধি নাকি খুব অল্প—
মাত্র তেইশ; আমার বয়সের সমান।


তিন হাত দূরত্ব ব্যবধান করে আছে বড়ভাইয়ের ছেলে
সময়ের অভাবে ওকে কোন নাম দেওয়া হয়নি।
একদিন ভোরবেলা একগাদা ঘুম নিয়ে এসেছিলো
কারুর ডাকেই তার ঘুম ভাঙেনি সেদিন।
তিনটে আটাশ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পার করে—
এখনো যেন মায়ের জঠরে ঘুমোচ্ছে।


ইদানীং এশার নামায শেষ হলে
ওদের বেশ মনে পড়ে আমার;
গাছের ডালপালা বেয়ে আঁধার ঘনিয়ে এলে
আমি তখন বাড়ির পথে পা বাড়াই
মেঘ ডেকে উঠে বিজলি চমকায়
যদিও একটু দাঁড়াবো ভাবি, কিন্তু সময় থাকেনা।
ফজরে দেখা হবে— এমন অজুহাত দেখিয়ে
পাশ কাটিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।


রাত গভীর হলে স্বপ্ন দেখি— আগামী পরশু
বাড়ি ফিরতে ফিরতে ওখানেই আমার বাড়ি হবে
এবং অনাগত আমার আদুরে খোকাটি বাড়ি ফেরার অজুহাতে
হনহন করে আমার পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে
কিন্তু আমাকে দেখতে এতোটুকুও ব্যস্ত হচ্ছে না!


০৮০৬২০১৭
কুটির।