এক যে ছিলো কাকাতুয়া পাখি,
বন্ধু তাহার পোকা।
যেমন-তেমন পোকা নয় সে,
একটা কুৎসিত ঝিঁঝিঁ পোকা।
কাকাতুয়াতো সুন্দরী ভীষন,
ছিলো কাজল কালো চোখ।
তার চেয়েও চমৎকার ছিলো,
তাহার দুটি ঠোঁট।
কাকাতুয়াকে অনেক ভাল-
বাসতো ঝিঁঝিঁ পোকা।
অদ্ভুত সব কান্ড করতো,
আস্ত একটা বোকা।
ঝিঁঝিঁ পোকাটার ঘুম ভাঙতো রোজ,
কাকাতুয়া পাখির গানে।
পাখিটার দূঃখে, পোকাটার চোখে,
জল আসতো- কি জানি কোন টানে!
পাখিটা ছিলো অভিমানী প্রিয়।
প্রায়ই- করতো অভিমান।
পাখির অভিমান ভাঙাতে পোকার,
বেরিয়ে যেতো জান।
ঝিঁঝিঁটার একটা দূঃখ মনে,
প্রায়ইতো সে কাঁদতো নির্জনে!
কেন জন্ম হলোনা তাহার,
ওই সে পক্ষীকুলে।
তবে কি আর দিতো কাকাতুয়ারে,
অন্যের হাতে তুলে!
ওদের ভালবাসা দেখে- থমকে যেতো,
বনের প্রানীসব।
সারা বন জুড়ে, ঘুড়ে বেড়াতো দুজনে,
করতো গুঞ্জন, কলরব।
হঠাৎ এক কাল বৈশাখি ঝড় এসেছিলো,
পাখি-পোকাটার দেশে।
ঠিক যেন যম-আজরাইলের বেশে।
নিয়ে যায় ঝিঁঝিঁকে, না ফেরার দেশে!
বন আছে, কাকাতুয়া আছে,
নেই ঝিঁঝিঁটা শুধু।
পোকাটার শোকে কদিন কেঁদেছিলো পাখি,
সবযেন শূন্য মরু ধুঁধুঁ!
আজ কাকাতুয়ার চোখে নেই জল,
পড়েনা ঝিঁঝিঁকে মনে।
নতুন পাখি খুঁজে নিয়েছে,
হতে কোনো এক বনে।
ভালো আছে কাকাতুয়া,
নিয়ে নতুন সাথী।
দূর হতে শুভ-কামনা পাঠায়,
ঝিঁঝিঁ পোকা দিবা-রাতি।