এখানে শব্দেরা খেলা করে, নিজেদের খেলা
আমাকে কখনো সাথে নিলে অকারণ,
আমি মোড় হয়ে থাকি, সারাখন,
ওরা খেলুড়ে !
আর যে বসে সারাক্ষন দেখে -, চিৎকার করে, হাসে কাঁদে ঘুঁটি ছুঁয়ে দিলে -
তাকে তো চিনিনে, কিন্তু সে থাকে খেলা জুড়ে !


ফকিরের দশ দোষ, দশ দশা বটে,
কখনো পালঙ্কে হাজামত, রাজার রাজা, কখনো ভিখারী, - মুগ্ধ সিন্ধুতটে,
সে কথা বলিনি বুঝি ! এইবার ঘষে মেজে নিও -
শব্দতো শব্দই শুধু, আমি শুধু প্রিয় বা অপ্রিয় –
জানলার গোবরাটে,
কাঁচের ওধারে,
কত জল, ব্যাথা, প্রাণদাত্রী, প্রেমকথা সব, ক্ষীণ তীক্ষ্ণ ধারে,
লিখে লিখে মরে মরে যায়, মাটির গভীরে যায় মিশে,
নিঃশেষে -
শান্তি কি পায় অবশেষে?


কখনো জানিনি,
কত ঋণী -
করে গেছে আমার আগামী পিপাসা -
জানিনি জলের দাগে দেউলিয়া কত ভালোবাসা
হয়তো এটাই বাঁচা, কি অদ্ভুত জীবন, জীবন ছাপের জলসাজি
কি অসম্ভব উচাটন, জেনেও পুড়িয়ে যাও হাতে ধরা এই তারাবাজী
কি অন্যায় জেনেও তো বয়ে যাই -
ক্ষয়ে যাই সয়ে যাই রয়ে যাই সুখী
জানলায় কাঁচের ওধারে খেলি অপরূপ শব্দের খেলা,
মোড় হয়ে থাকি,
জলকুমিরের খেলা চলে আর চলে - সারাখন
আঁকেবাঁকে লেখা হয় লক্ষ আঁকিবুকি !


তবুও তো "পেঁচা জাগে"
অনিবার জলধারা - অনেক অনেক বয়ে,
রয়ে সয়ে
লেখা ও অলেখ রেখা, এঁকে নেয় মুগ্ধ অনুরাগে
আকাশের সব রং মেখে নেয়,
দেখে নেয়, অনন্ত সময়,
রেখে যায় শব্দরেখা মুছে যাওয়া অকিঞ্চন দাগে,
বসন্ত পঞ্চমীর থেকে চুরি করা মধুগন্ধী হৃদয়ের ফাগে -
উদারা মুদারা তারা পার হয় - পূর্ণ হয়, বহু হয়
হাজার আমিতে ভেঙে, জলে জল বহুধা হবার সুখ মাগে -


এমন জীবন খেলা করে - জীবন বা শব্দের সমাহার
অনিবার,
খেলা করে - নিজেদের খেলা
আমি মোড় হয়ে থাকি, সারাখন,
ওরা খেলুড়ে !


যে জন খেলায় সেটা অন্য আমি - চিনি নি কখনো -
কিন্তু দিব্যি জানি, সে থাকে খেলা জুড়ে !