জীবনের পাথারের কূলে বসে আছি একা হাজার বছর ধরে,
কলরোল করে গেছে জীবনের সিন্ধু দেখি নিতি করে আয়োজন;
হলোনা তরণী বাওয়া কূলের নির্মোক ঘেঁষে দেখি বাচুলর 'পরে
ঢেউগুলো ঘাত করে নির্ঘোষ তুলেছে শুধু ছিলো যাই প্রয়োজন।
পৃথিবীর এককোণে আমার এ বসবাস বৃথা হয়ে যায় আজ
পারিনি চড়তে আমি উত্তাল সাগর বুকে করে চলি হাঁসফাঁস;
নিবিড় নিভৃতে আজ সেই কথা ভেবে হাসি দেখেছি কূলের সাজ
কত যে তরণী আসে কূলের নিকটে ঘেঁষে কেটে যায় কত মাস।


যখন আসবে মৃত্যু দেখে আমি যাবো শুধু সূর্যের ডুবন্ত রূপ
চেখে যাবো অনন্তের অসীমের রূপমালা সাগরের পানে চেয়ে;
নিরাকার আকাশের দিকে নক্ষত্রের মতো রয়ে যাবো আমি চুপ
খসে যাবো জীবনের ক্লান্তি বয়ে চলা প্রাণ আঘাত আসবে ধেয়ে।
জীবনের সীমাহীন সিন্ধুর দেখাটি পেতে জেগে যেতে চাই বাকি
অথচ আমার চোখ তবু বুজে আসে খালি প্রত্যয় ভেঙেছে রোজ;
মুছে যাবে নিজ পেশা জীবনের মায়াজালে কিরূপ বা দেব ফাঁকি
তাই আজ তাঁরে আমি জীবন অনন্ত সিন্ধু করে চলি বেগে খোঁজ।


আমার সাধনা এই সাগরের তীরে বসে পারিনি সাঁতরে আর
পারিনি ছুটতে আমি বিশাল জাহাজ কোলে বসে রয়ে বহুদূর;
তবুও আমার চোখ এঁকে গেছে অসীমের আকাশের পারাবার
তাই দিয়ে গান বুনি জানিনা গানের ধারা আসেনা মধুর সুর।
কতোটুকু পারি দিতে অদেখা সাগর তীরে বসে এক কবিয়াল
চারিদিকে আছে শুধু অদেখা পৃথ্বীর ছবি ক্যানভাসে আঁকি তাই;
মাঝ সাগরের বুকে যেতে চাই তবু হায় আসেনা আমার ভাল
চিরচেনা কূল এঁকে বিক্ষুব্ধ সাগর আঁকি তাই দিয়ে গান গাই।


অবশেষে বুঝি আমি আমার আগম কথা বিফলের কথামালা
সাগরের বুকে দেখা দূরবর্তী কোন তরী জানাবে কি আর সায়;
কাছের মানুষ নেই আছে শুধু অসীমের সাগরের সেই আলা
মৃত্যুর নিকটে ঘেঁষে আমার বেদন আজ জীবনের গান গায়।
জীবনের এ অনন্ত সমুদ্রের কথামালা হৃদয়ে বুনেছি আজ
নাইবা পেলাম দেখা তাঁর সেই আননের তীরে বসে আজ ভাবি;
পেয়েছি বাতাসে তাঁর ভেসে যাওয়া কথামালা শুধু করেছে বিরাজ
তাই আজ করি আমি অনন্ত সাগর তরে কেবলি স্বর্গের দাবি।