গতদিন আমার প্রকাশনা ছিল উভরোহী পঞ্চদশ যেখানে একই লেখা উপর ও নীচ দুই দিক থেকে অর্থবহ, উপর থেকে পড়লে এটি একটি অবরোহী, লেখাটি উল্টিয়ে নীচ থেকে পড়লে তা একটি আরোহী, একই লেখার ভেতর অবরোহী ও আরোহী এই উভয় ধারা বিদ্যমান থাকাতে এটি উভরোহী পঞ্চদশ । আমি মাঝে বেশকিছু দিন কবিতা আসরে ছিলাম না, কবিতা থেকেও দূরে ছিলাম, আসরে ফিরে দেখতে পেলাম আসরের বন্ধুদের ভালোবাসায় এই ধারা চর্চিত হচ্ছে । শুধু চর্চা নয়, এই ধারা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে, এটি আমাকে অন্য এক ধরনের ভালোলাগার অনুভব দিলো, আরও জানতে পারলাম আমার এই উভরোহী ভাবনাও ছুঁয়ে গেছে আসরের বন্ধুদের, দ্বিরোহী নামে এই ধরনের লেখার কথাও জানতে পারলাম আমার গতকালের লেখায় বন্ধুদের মন্তব্যে, ভালোলাগার উষ্ণতায় আবারও প্লাবিত হলাম, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলা কবিতা আসরের বন্ধুদের, স্বীকার করি এই ধারার পেছনে সংশ্লিষ্ট সব বন্ধুদের পরিশ্রম ও অবদান, এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের সবাইকে এভাবেই একসাথে কাজ করতে হবে । তবে গতকালের উভরোহী ধারাটির নামের ব্যাপারে কিছুটা দ্বিমত থাকাতে এই উভরোহী ও দ্বিরোহী ধারার ভেতর পার্থক্য সুনির্দিষ্ট করে বোঝাবে আজকের এই লেখা “দ্বিরোহী পঞ্চদশঃ সত্য ও সুন্দর” । কোন সমারোহী কবিতা যখন উপর ও নীচ উভয় দিক থেকেই অর্থবহ হবে তা হবে দ্বিরোহী, উভরোহী ও দ্বিরোহীর দুই ধরনের কবিতাই উপর ও নীচ উভয় দিক থেকে অর্থবহ কিন্তু এই দুই ধারার মুল পার্থক্যের জায়গাটি হল উভরোহী লেখা বিপরীতক্রমে পড়লে যে দুটি কবিতা পাওয়া যায় তার একটি অবরোহী ও অন্যটি আরোহী কিন্তু দ্বিরোহী কবিতা উপর বা নীচ থেকে যেভাবেই পড়া হোক না কেন তা প্রাপ্ত কবিতাটি সমারোহী ঘরনার কবিতা হবে । বিষয়টি উদাহরন সহকারে দেখানো যেতে পারেঃ
আজকের লেখা “দ্বিরোহী পঞ্চদশঃ সত্য ও সুন্দর” উপর থেকে পড়ে এলে একটি সমারোহী লেখা পাওয়া যায় দ্বিমুখী অর্থের কারনে যা মূলত দ্বিরোহী পঞ্চদশ,
পা
দিয়ে
বিজয়ে
সবশেষে
তুমি দেখালে
সত্য জয়ী হয়
সুন্দর জয়ী হয়
স্রষ্টার রায় নির্ভুল
মানবতা নির্ভুল
মিথ্যা ক্ষণস্থায়ী
জয়ের মালা
সত্য পড়ে
বিজয়ে,
হাসে
সে
আবার লেখাটি উল্টিয়ে নীচ থেকে উপরে পড়ে এলে আরেকটি সমারোহী লেখা পাওয়া যায়, আর একই ফরম্যাটে এরকম দুটি সমারোহী লেখার সম্মেলনের কারনেই এই ধারা দ্বিরোহী ...
সে
হাসে
বিজয়ে,
সত্য পড়ে
জয়ের মালা
মিথ্যা ক্ষণস্থায়ী
মানবতা নির্ভুল
স্রষ্টার রায় নির্ভুল
সুন্দর জয়ী হয়
সত্য জয়ী হয়
তুমি দেখালে
সবশেষে
বিজয়ে
দিয়ে
পা ।
আমার গতকাল ও আজকের পোষ্টটি একসাথে পড়লে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে বলে মনে করি ।
এটি সমারোহীর একটি ধারার বিবর্তন, সমারোহী ধারার দ্বিতীয় ধারাটি দিয়েও এরকম দ্বিরোহী কবিতা লেখা সম্ভব, সামনে এই বিষয়ে লেখার ইচ্ছে রইল । ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ।