ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছি ঝরে যাওয়া শুভ্র তারার মত
অথবা তোমার হাতের ঘর্ষণকৃত চকের শেষ প্রান্ত।
খসখস্ খসখস্ শব্দে হৃদয়ের যত মসৃনতা, ওই
কালো দেয়ালের থেকে ঝরে পড়ছে তোমার পায়ের তলায়,
দেখতে পারছো হৃদয় চূর্ণ হলে সাদা বর্ণে রূপান্তরিত হয়?
বর্ণমালা কিংবা গোলমেলে অঙ্কগুলোর দূর্বোধ্য ধাঁধায়।
ভাবিনি কোনদিন এমনতর নিয়তির দৈব চাওয়া
ভাসিয়েছি ঝড়ের দিনে
আমার সকল দিব্যজ্ঞানে
ছিড়ুক যত সুখের মাতন, তবু উজান তরী বাওয়া।
সাজিয়ে রেখেছি বিনে সুঁতোর মালায়
নিষ্ঠুর সুন্দর দেবী রূপে তোমায়,
পূজার্ঘ্য ফুলসম থাকো
বিবাগী ব্যথা হয়ো নাকো।
পূবের মেঘ তুমি
সবুজের ক্ষেত-ভূমি,
অনিকেত পাহাড়ী পড়ন্ত মধুময় বিকেল আমার,
চঞ্চল স্নিগ্ধ সকাল তুমি নিঃসঙ্গ প্রাণের সঞ্চার।
পূবের বায়ে, তুমি পাঠায়ে দিলে প্রেমের পরশমনি
জেনেছি তোমায়, করেছ আমায় প্রাণের টুকরোখানি।


ওগো পূবের হাওয়া
এটুকুই শুধু চাওয়া,
হতে যেন পারি পূঁজোর অঞ্জলীর ডালী তার চরণে
দিবানিশি দিশেহারা হয়ে, পুড়ি নিত্য প্রেমের অনলে।
আমার মত সেও কি কখনো
উতলা হয়ে বসে একাকীনী
ভাবে জ্বেলে সন্ধ্যা প্রদ্বীপখানি?
মরণের পরে আমায় রাখে সে প্রাণে যেন।


ওহে দিবাকর, তুমি তো প্রতিদিন তার উঠোন
থেকে রওয়ানা কর, তন্দ্রাচ্ছন্ন কেমন দেখায় তাকে তখন?
নিশ্চয়ই তার সাথে দুঃখ-সুখের কত শত কথা হয়
বল না ভাই আমায়, কি কথা বলে সে তোমায়?
দোহায় তোমার, দগ্ধ ক্ষতে বাড়িও না আর দহন জ্বালা
রিক্ত আমি-নিঃস্ব আমি চেয়ে আছি পথ আত্ম ভোলা।
শুনব বলে তোমার মুখে
আমার প্রিয়া আছে সুখে,
বলো তারে গিয়ে ফিরে, বুকের ভেতর একলা পাখি
নিরব করে ডাকাডাকি।


ও রাতের জাগা তন্দ্রাবিহীন শশী, রাত্রিকালের স্বাক্ষী তুমি
লুকিয়ে ব্যথা মনের মাঝে, জেগে থাকি তুমি-আমি-
বিরহী আজ বাঁধন-হারা
খুঁজি দুজন-পাগলপারা?


দূরের হয়ে আছি-আপন হয়ে নই, নয়নে নয়ন রেখে কভু
কইনি তো হায় কথা-
স্বপন ভেঙে দেখি জেগে, আঁখি দুটি জলে ভেজে,
নিশি ফুরালে নিরবতা।


মিনতী করি মেঘ-তাঁরা-সূর্য্য-চাঁদে
বলো তারে, তার তরে প্রাণটি কাঁদে।