প্রতিদিন প্রতিক্ষণ কদাকায় সাজায় শব্দের পর শব্দ
প্রতিটি অক্ষরের ভেতর নিভৃতে হীম হয়ে পড়ে থাকে
আমার অন্তরের নেপথ্যের গভীর মগ্ন মৌন ব্যাথাগুলো,
পাড়ি দিতে হয় বিরহী সংগীতজ্ঞের সুরের বিমর্ষ দরীয়া।
কম্পমান হাতে লিখে চলি বিরামহীন এলোমেলো পঙ্ক্তি
অবশেষে সেগুলো রূপ নেয় পূর্ণ কবিতায় বিপুল উৎসাহে।
স্বাভাবিক ঘুমের বিপর্যয়, দেখি পূর্ব গগণে রবির রক্তিম আভা
অথচ কি আমার দহন হৃদয়ে হাহাকার করে সময়ে সময়ে!
কি এক মনোকষ্ট আষাঢ়ের আকাশ ভেঙে পড়ে পৃথিবীতে!
মনে হয় তৃঞ্চায়-ব্যাথায় কাতরায় চিরকালের বিচ্ছেদে।


অমূল্য আমার চমৎকার মুখরিত উদ্ভাসিত প্রেম, ওহে অনুভব
ওহে আপন-সত্মা আমার, পরাজয়ীতার সর্বগ্রাসী অন্তহীন
দূরান্তর পরবাসীর শিকল ভেঙে ছুঁটে আয় স্বপনসৌধে,
যেখানে আত্মপ্রত্যয়ী নিখিলের ঊষা দুহাত বাড়ায়ে রয়েছে।


অন্তরস্থ বিষব্যাথা ফুঁসে ফুঁসে উঠে নির্বাসিত গোহীন থেকে
আশাশূণ্য অভিলাষ ভোরের শিশির হয়ে ঝরতে থাকে,
বিমুগ্ধ মায়ামৃগ আষ্টেপিষ্টে বেঁধে অন্ধকারের গহ্বরে নিয়ে
বিরহের ভিড়ের মধ্যে নিক্ষেপ করে আমায়, মাহাগুড়ি দিয়ে বারংবার অজস্র ভিড় থেকে উঠে দেখি আমার-
আশা নেই, ভালবাসা নেই।
উৎসব নেই, বৈভব নেই।
ছন্দ নেই, আনন্দ নেই।
মুগ্ধতা নেই, শুদ্ধতা নেই।
সম্পর্ক নেই, নৈকট্য নেই।
নির্ভরতা নেই, সফলতা নেই।
প্রাণপ্রাচুর্য নেই, তাৎপর্য নেই।
যোগাযোগ নেই, মনসংযোগ নেই।
প্রেম নেই, তুমি নেই।


এতো সমস্ত কিছু না থাকার মাঝেও অবশিষ্ট আমার-
মৌন ব্যাথা আছে, অবলা কথা আছে।
কৃতজ্ঞতা আছে, সহনশিলতা আছে।
লজ্জা আছে, অস্থিমজ্জা আছে।
অঙ্গিকার আছে, অহঙ্কার আছে।
বিবেচনা আছে, অন্তঃক্ষমা আছে।
অনুতাপ আছে, অভিশাপ আছে।
প্রেম আছে, তুমি আছো।


অমূল্য আমার চমৎকার মুখরিত উদ্ভাসিত প্রেম, ওহে অনুভব
ওহে আপন-সত্মা আমার, পরাজয়ীতার সর্বগ্রাসী অন্তহীন
দূরান্তর পরবাসীর শিকল ভেঙে ছুঁটে আয় স্বপনসৌধে,
যেখানে আত্মপ্রত্যয়ী নিখিলের ঊষা দুহাত বাড়ায়ে রয়েছে।