ঈশ্বর কি ভিখারী ?
অতীন্দ্রিয় সত্তা বলে—হ্যাঁ ।
এ যুগের নীচ-ভন্ড গুরুদের মত
শিষ্যদের কাছ থেকে ভিক্ষালব্ধ দক্ষিণার ধনে
অগাধ সম্পত্তির যারা অধিকারী হয় ।
কল্পিত বৈতরণীর গোপুচ্ছ ধরিয়া
ওপাড়ে পেরিয়ে যাবার দৃশ্য নির্দেশিয়া
পরকালে পার করার দত্ত প্রতিশ্রুতি
শুনিয়া বিবেক পিষ্ট মানুষের দল
শ্রদ্ধার শেখরে তুলে করেছে মহান ।
ধনের ভান্ডার যদি থাকিবে তাহার ,
গরীবের রক্ত চুষে বড় কেন হয় ধনীরা সমাজে ?
প্রিয় যদি হয়ে থাকে তারা ,
নিজের ভান্ডার থেকে দিয়ে তাদের
পারে না বানাতে ধনপতি ?
শ্রমিকের শ্রম লব্ধ অর্থ কেন খরস্রোতা ভাঁটির টানেতে
মিশায় বহিয়া নিয়া ধনের সাগর-সাথে ?
রিক্ত যদি না ই হবে তার ধনের ভন্ডার
সারাদিন ঘুরে কেন ভিখারী ফিরিয়া আসে
রাতের আঁধার মাঝে রিক্ত হস্তে
প্রতিদিন প্লাটফর্মের কোনে —
উলঙ্গ ধূলিমাখা শিশুদের মাঝে ?
মধ্যবিত্তের পরিত্যক্ত ফ্যানের খোরাটি
মরিয়া হয়ে ওঠে কাড়াকাড়িতে ,
সে দৃশ্য কি দুটি চোখে পড়ে না তাহার !
একমুঠো অন্ন দিলে ভুখা ওই শিশুদের মুখে
ফুরিয়ে কি যাবে সেই ঈশ্বরের খাদ্যের ভান্ডার ?
ঈশ্বরের অস্তিত্ব যদি স্বীকার্য সত্যিই হয়
ভিখারী ঈশ্বর নামে আখ্যা দিতে হয় তাঁর ।
                     ************