লেখনী নিয়েছি হাতে , আচমকা  চিৎকার —
বিছানা ভিজিয়ে শিশু করিয়াছে একাকার ।
মনটা গুছিয়ে নিতে ভাবি কিছুক্ষণ ,
গিন্নীর ডাকে ধ্যান ভাঙিল তখন ।
টাকা হাতে গুঁজে দিয়ে ধরাল সে একখানি লিষ্ট ,
পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে করা হবে সাড়ম্বরে ফিষ্ট ।
অগত্যা বাজার সেরে ফিরিয়াছি সবে আমি বাড়ি ,
নোট বই টেনে নিয়ে বসে যাই সাত তাড়াতাড়ি ।
আচমকা বিদীর্ণ করে শুরু হল ফিষ্টের ডিজে ,
পালাবার পথ খুঁজে কোথা যাব ভেবে মরি নিজে ।
পাড়ার ঝামেলা-ঝঞ্জাট মিটাতে হয় প্রতিবেশীকেই ,
সবাই করিল দাবী ডেকে আনো সেই কবিকেই ।
আবার সুযোগ বুঝে পেন নিয়ে চেয়ারেতে বসি ,
হঠাৎ ঝড়ের বেগে গিন্নী আসিল সেথা পশি—
কল থেকে জল আনো কলসীটা করে ঠনঠন ,
অগত্যা বেরিয়ে পড়ি শান্ত রাখিতে তার মন ।
হাঁক দিল এর মাঝে,‘চাঁদা দিন সাংস্কৃতিক উৎসব হবে’ ,
সাংস্কৃতিক মানেই তো সেই অপসংস্কৃতি কলরবে—
সারা রাত দাপাদাপি ঝাপাঝাপি বোতলের হবে ঠোকাঠুকি ,
আনন্দ করিবে ওরা ছোট ছোট খোকা আর খুকি ।
এ ভাবেই কাটে মোর নোট বইয়ের বিরতি প্রহর ,
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি চেপে ধরে মোর কণ্ঠস্বর ।
                   ###########