স্বাধীনতা , তুমি কার ?
প্রশ্ন করেছি বারবার ।
ছিল নিরুত্তর
দীর্ঘশ্বাস ফেলে তারপর—
কুণ্ঠিত , লজ্জিত , ব্যথিত স্বরাজ বলে গেল কানে কানে—
নির্যাতিতা নাবালিকাও বলে দেবে এ প্রশ্নের মানে !
বাস্তুহারার কান্না আর শহীদের অভিশাপে—
আমি কলঙ্কিতা ,ধিক্কৃতা , পুড়ে মরছি আত্মগ্লানির অনুতাপে ।
সন্তর্পণে বলে যায় ধীরে ধীরে—
আমি বন্দিনী , ভ্রাতৃঘাতক কুবেরপুরীর স্বর্ণ-রজত মন্দিরে ।
আমি নির্যাতিতা , ধর্ষক মোরে উদ্যত করিতে খুন ,
কে আছো বাঁচাও ! জোট বদ্ধ হয়ে সবে গর্জে উঠুন ।
গুণ্ডা-বদমায়েস আর লুঠেরাও মোরে করেছে শৃঙ্খলিত ,
বঞ্চিত সাধারণ ,তারা তুচ্ছ , তারা অবাঞ্ছিত ।
প্রশাসন ধরেছে পথ প্রতিবাদীর কণ্ঠ রোধের ,
খর্ব করিতে ব্যস্ত সমাচার মাধ্যম আর পাঠ্য কাগজের ।
সদাচারহীন ব্যবসায়ীদল তুলেছে সুউচ্চ প্রাচীর ,
কালোবাজারী কালো টাকা দিয়ে গড়িয়াছে জিঞ্জির ।
কে বাঁচাবে মোরে ! বিভ্রান্ত সবাই ,
আমি স্বাধীনতা , মুক্তির লাগি সকাতর আকুতি জানাই ।  
                     *****************