হে অনন্যা , করিলে মানা লিখিতে আমায় ,
যুগান্তের যেন কোন্ দূর অতীতে ।
সুদীর্ঘ মৌনতার গ্রন্থি কেন দিলে ?
হৃদয় বন্ধন করে কোন্ ব্রত করছো পালন ?
মনের গ্রন্থি বুঝি হচ্ছে শিথিল !
হয়তো নিঃশব্দ পায় সরে যাবে দূরে ,
যখন দেখিবে পরে চিনিবে কি মোরে ?
না ই বা চিনিলে , তাতে নেই ক্ষতি , নেই সন্তাপ ।
অনাবিল অনুরাগ , কপটতা নয় ,
চলে যাব সান্ত্বনার এই বাণী লয়ে ,
সুখী হয়ে রচো তুমি শান্তির নীড় ,
বাধা ও বিঘ্ন মুক্ত কাটাও জীবন ।
উদাস পাগলপারা মহা সুখী আমি ,
যা দেবে সেটুকু আমি উপহার মেনে
অঞ্জলি পেতে নেব হাসি মাখা মুখে ।
যদি পারো লিখো তবে দু’একটা কলি ,
তোমার সবুজ হৃদয়-পরত থেকে ।
নীরবতা সহে না যে বিদগ্ধ হৃদয়ে ,
আজ ভাবি কাল পাব , কাল ভাবি কাল,
কাল যায় মহাকালে তবু নাহি ছিন্ন হয় আশার লতা ।
পদশব্দে চেয়ে দেখি , না , কেউ নয় !
থমকে ভাঙিয়া পড়ে আশাহত মন ।
সঞ্চারি নবীন আশা মায়াবি পথে
আবার চলতে থাকে হয়ে দুর্নিবার ।
আশার মঞ্জরি হবে কবে মুকুলিত ,
জানি না , অজান্তে কি পড়িবে ঝরে
ধূলার মলিন ওই শয্যার গায় ।
পথচারিনী , এ নহে তোমার কাজ—
ভুল পথ ছেড়ে দাও ,
ছেড়ে দাও মৌনব্রত তুমি ।
             ##########