শহর থেকে অনেক দূরে, শহরতলির পরে
রায়েরকাঠির রাজবাড়িটার পাশের গলি ধরে
কাদা মাটির রাস্তা ধরে খানিকটা দূর গেলে
পান্থাডুবি গ্রামটা মোদের সবার দেখা মেলে ।
দুটো খালে ভাগ হয়েছে , তাদের পলি দিয়ে
গঠিত এই গণ্ডগ্রাম ।  পাড়া পড়শি নিয়ে
সবাই মোরা ছিলাম সেথা সুশিকরের টানে ।
আচমকাই লুণ্ঠকেরা বজ্র আঘাত হানে ।  
মৎস ধরার মহোৎসবে উচ্ছলিত প্রাণ ,
নবান্নটাও মনে পড়লে মন করে আনচান ।
বারো মাসের তের পরব একই সূত্রে গাঁথা ,
একের দুঃখে কাঁদত আরেক ,হৃদয়ে আসন পাতা ।
ভালোবাসার বেদিমূলে হৃদয়ের বন্ধন ,
রাজনীতির পঙ্কিলতার বাইরে ছিল মন ।
একের দুখের সাগরেতে ঝাঁপ দিত আরেক ,
আনন্দেও সবার হতো মধুর অভিষেক ।
কোথায় সে সব হারিয়ে গেল ঝড়ের দাপটেতে ,
ছিটকে গেলাম কে যে কোথায় একটু শরণ পেতে ।
                 *****************