পাখির ঝরা পালক আর
নল খাগড়ার বন ,
কখনো বাঁশের ঝাড় ,
কখনো বা কাশ বন থেকে
আমাকে করেছো চয়ন ।
ছিলাম অ্যানীমিয়ায় আক্রান্ত আমি ,
তোমাদের ভাঁড়র থেকে প্রতিনিয়ত
রক্ত দিয়ে দিয়ে
রেখেছো সচল করে সারাটা জীবন ।
তারপর একদিন—
কোন এক হৃদয়বান
আমার বুকের মাঝে
বইয়ে দিল বর্ণালি ঝর্ণার ধারা ,
হয়ে উঠলাম আরো গতিশীল ,
প্রাণবন্ত আরো ,
মার্জিত হল মোর দেহ সৌষ্ঠব ।
পরিণয় বাসরেও কদর পেলাম ,
উপঢৌকনে আমি অনবদ্য পেয়েছি সম্মান ।
গরবিনী হয়ে উঠি আমি ।
কিন্তু হায় !
সুখ আর বেশি দিন টিকল না মোর ।
শুকাল আবার বুকের ঝর্ণা ধারা ,
হৃৎপিন্ডের শোনিত ধারা স্তব্ধ হল ,
পেসমেকারবসানো হল বুকে ,
বেঁচে আছি ব্যথা নিয়ে ।
নতুন আশঙ্কা জাগে মনে—
আধুনিক প্রযুক্তির আশীর্বাদে—
তোমরা হয়েছো ধন্য ,
অভিশাপ নেমে এল আমার বুকে ।
আমার কদর নেই বিরহিনী দয়িতার কাছে ।
অফিসের কেরানি বাবু আমায় করেছে ব্রাত্য ।
পড়ুয়ারা মোরে ব্যবহার করে
ছুড়ে ফেলে রাস্তার ধারে ,
কখনো বা ঠাঁই হয় মোর
আঁস্তাকুড়ের
নোংরার মাঝে ।
প্রতীক্ষায় দিন গুণি কবে মোর ঠাঁই হবে
সমাধির নীচে ।
                ********