আয়ানের পাণিগ্রাহী রাধিকা ,
মাধবকে সে ভগবান ভেবে হতেই পারে সাধিকা ।
তাই বলে ‘রাধা-মাধব’ যুগলবন্দী পূজ্য !
রুক্মিনীরা ব্রাত্য হলো , ভক্তির এ কোন সাযুজ্য ?
সমাজে যদি পরকীয়া প্রেমের এতোই কদর থাকে  !
কী দরকার বন্ধন সাতপাঁকে ?
দ্বারকাধিপতির যাহারা মহিষী —
অন্তঃপুরে কাঁদে দিবা-নিশি ,
ভক্ত কুলের কর্ণ-কুহরে পশে কি সে ক্রন্দন রোল ?
মহানন্দে বলে তারা — ‘জয় রাধে হরিবোল !’
যদিও বহু পরিণয়ের ছিল সামাজিক প্রচলন ,
আয়ান-রাধিকা-মাঝে হয়েছে কি বিচ্ছিন্ন বন্ধন !
মত্ত হলো কি করে ভক্ত এই অনাচার মেনে ?
বিবেক দংশন হয় না কখনো পুরাণের পাঠ জেনে !
স্বেচ্ছাচারী রাজা যখন প্রজা নিরুপায় ,
সেটা না হয় ছিল দ্বারকায় ।
সারা ভারত হলো কেন মত্ত ও বিভোর !
যোগ-তপ , মানব ধর্মের নেই তো কোন তোর ।
‘হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ’ বলে চৈতন্য পাগোল ,
রাধা নামে হয়নি বিভোল ।
আরাধিকা শক্তি ? সেতো পরমাত্মায় লীনময় ,
তার প্রতীক কেমন করে যুগল মূর্তি হয় ?
পরমাত্মা কৃষ্ণ যিনি জন্ম-মৃত্যু নেই ,
রাজা প্রজা  কিছু নন , অবিকৃত অপার্থিব সেই ।
ত্রিজগতের কোন সত্তা সৃষ্টিকর্তা নন ,
মহাবিশ্বের বাইরের তিনি শক্তি-সনাতন ।
তা থেকেই সব সৃষ্টি , তাতেই বিলীন ,
সেই সত্তা নিরাকার-মুক্ত-পূর্ণ-অমলিন ।


           ###########