সোঁদা মাটির মোহময় গন্ধ
একটু দুরেই বিস্তৃত পাটক্ষেত
পাতায় পাতায় ভুঁঞা পোকার
ধীর গতিতে চলাফেরা
যেন সহিষ্ণু হতে শেখায়
আর ডেকে বলে -
এসো আমাদের সাথে খেল
সামাজিক জ্ঞান অর্জন কর ।
কর্দমাক্ত পথ পেরিয়ে ছোট একটা
গাছের গুঁড়ি যেখানে পিঁপড়েরা সারিবদ্ধ হয়ে খাদ্য সঞ্চয়ে ব্যস্ত
"পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি "
প্রবাদটি মনে করিয়ে দেয় ।
দু'পাশে ধানী জমি
মাঝে মাঝে আইল
অজগরের মতো এঁকেবেঁকে জমির মালিকানা আলাদা করেছে ।
কিছুদূর এগিয়ে শালিকের ওড়াওড়ি খেলা
প্রাণবন্ত মাতলামিতে বিষন্নতার অবসান
দিগন্ত পেরিয়ে আকাশ আর জমিনের সহবাস
একে অপরকে ছোঁয়াছুঁয়ির খেলা
ভালবাসা জাগায় প্রাণে
হতভম্ব , আকাশের বিশালতায়
কোথায় শেষ তার
করেছে কে সৃষ্টি ?
নিপুণ হাতের ছোয়ায় !
দেহে এনেছে আত্মা
আত্মায় এনেছে প্রাণ
বিশাল মাঠের শেষপ্রান্তে
হাওর বাওড়
প্রান্তে - প্রান্তে কাশফুলের নাচন
বাবলার গাছে পাখ পাখালীর মিতালি
এ যেন মহামায়ায় ভরা স্বর্গের হাতছানি
বোধোদয় !
প্রকৃতির কাছে মাথা নোয়ানো
প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ।


বেনাপোল
২২ / ১০ / ২০১৫
৭ কার্তিক ১৪২২