তুমি কে হে? এমন বলিষ্ঠ পায়ে দাঁরিয়েছ!!
প্রতিশোধ নিবে বলে অস্ত্র হাতে নিয়েছ ।
তুমি কি সেই বাংলা মায়ের সন্তান?
যে সপ্ন দেখেছিল একটি সোনার বাংলার।
তুমি কি সেই কৃষান? বাংলার মাঠে,
যে চেয়েছিলো সোনালি ফসল ফলাতে।
নাকি তুমি বীরের প্রতীক মরন অস্ত্র হাতে!!
তুমি কি নজরুলের সেই বিদ্রহী কন্ঠ?
নাকি মুক্তিযোদ্ধা! যারা এনেছিল বাংলার স্বাধিনতা।


তুমি কে হে এমন করে চেয়ে আছো??
তুমি কি মুজিবরের ভাষন?
নাকি মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার মেশিনগান?
তুমি কি সেই বিদ্রহী জনতা ?
ফিরে এনেছিলো যারা বাংলাদেশের প্রান।
তুমি কি সেই পাঠশালার শিক্ষাগুরু?
অস্ত্র হাতে শিক্ষা দিতে করেছিলে শুরু!!


বাংলা মায়ের বীর সন্তান! তোমরা কেন আছো চুপ?
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আজ কেন নিশ্চুপ?
কেন তোমাদের পায়ে শিকল?
কেন তোমাদের অস্ত্র আজ কথা বলে না?
তোমরা কি বোবা? নাকি শুনতে পাওনা?
এই বাংলার কান্না।


বাংলার নেতা; কোথায় তুমি? কোথায় তোমার স্বাধিনতা?
কেন কৃপন হয়েছে আজ তোমার অন্নদাতা?
কেন তোমার কন্ঠে বাজেনা আজ স্বাধিনতার গান?
কেন ন্যায়ের পথে গর্জে ওঠেনা তোমার মেশিনগান?
তোমার দিকে চেয়ে আছে আজ বাংলার জনতা,
তুমি কিছু বলবে বলে, তারা কিছু শুনবে বলে।
সোনার ধানের স্বপ্ন তারা আজও দেখে।
তারা জানে, সোনার ধান আনতে হলে
তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হবে।
তবু তারা স্বপ্ন দেখে,
সোনার ধানের স্বপ্ন, সোনার বাংলার স্বপ্ন।
সে স্বপ্ন তুমি সত্যি করো।
তুমি ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো,
তিরিস লক্ষ শহীদের রক্ত হয়ে,
মুজিবরের ভাষন হয়ে, জিয়ার অস্ত্র হয়ে,
এই বাংলার বুকে; শত্রুদের দুঃস্বপ্ন হয়ে।