চলতে চলতে ভাবি। শুয়ে শুয়ে ভাবি
লোকটি এমন কেন?
অপরিস্কার,গায়ে সাবানের ঘ্রাণ নেই।
শার্টের দুটো বোতাম নেই।সিঁথী করা তাক
তাক চুল নেই।
লোকটি যেন  কেমন তরো?
টিপ টিপ হাঁটে,বিড়-বিড় করে কথা বলে।
জাহাজে চুঙ্গির মতো, ফুওস করে ধোঁয়া ছাড়ে।
বিড়ির গন্ধ শরীরে।
টুক টুক করে  সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠে
নিজের ঘরে।কি সব করে?সাদা কাগজে
আঁকা ঝোঁকা, কাটা কাটি।
রাতের মধ্য প্রহরে তুমড়ি খেলে, গুমরে কাঁদে।
নারীর গন্ধ নেয় না।রক্ত চেনে না। সংসার বুঝে না।
লোকটি এমন কেন? অন্য রকম।
জ্বরে কাঁপে, শুয়ে প্রলাপ করে।কাউকে ডাকে না।
পকেটে পয়সা রেখে পথ্য কেনে না।
ঘরে ঝাড়বাতি ।কবুতরের দানা কেনে।
বিড়াল ছানার দুধ কেনে।
নিজের বেলা যত মহা আকাল।
আমি ভাবি লোকটি এমন কেন?
মন ভোলা।সারা দিন খোঁজে।কি যেন খোঁজে।
পেয়ে আবার হাতের কাছে হারিয়ে ফেলে।
লোকটি  যেন, কেমন তরো?
খাদে পরে,  কাউকে ডাকে না।
হাত  বাড়লে ও হাত ধরে উঠে  না।
নিজে নিজে হামাগুড়ি দিয়ে উঠে।
চাবুকের আঘাতে হাসে।
শরীর ক্ষত থেকে দর দর করে রক্ত ঝরে
একটু কাঁদে না।যত পুড়ে তত হাসে।
লোকটিকে বুঝি না।কেমন যেন মনে হয়।