ক্ষুধার যন্ত্রণা আমি জানি অমিনেষ।
কি এক ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা!
পেটে পোষা কৃমি ভুঁড়ি কাটে।
১৯৪৩ ও ১৯৭৪ 'র দুর্ভিক্ষ দেখেছি।
ভাত ছিলো বেহেস্তি খানা।
ঈশ্বরের সমর্থিত  পূর্ণ্যবানদের।
ভাতের ফেনের জন্য হাত উচু করে নাগাল পাইনি।
ছোট ছিলাম বলে।
এখন ও কি বড় হতে পেরেছি,  অমিনেষ?
চৌকাঠে মাথা  ঠেকে।
মাথা থেকে আকাশের দুরত্ব অনেক।
সারা দিন ঘুরে। একসেরি শালুক
পেয়ে ছিলেম বিলে।মায়ের চোখে আনন্দ।
সে কি আনন্দ অনিমেষ!!অন্ধকারে ক্ষুধার্ত
বাঘডাশার চক্ষু এমন করে জ্বলতে দেখেছি।
নুনের স্বাদ ছিলোনা, সিদ্ধ শালুকে।কি যে স্বাদ !
আর কোনদিন এমন স্বাদ হয়নি শালুকে।
মা বললো, খেয়েনে বাছা।হাড্ডি থাকলে
গোস্ত গজাবে,অনিমেষ।
এখন ও গোস্ত হয়নি।হাড্ডির সাথে মিশে যাচ্ছে
দিনকে  দিন।ঘামে পঁচে যাচ্ছে শরীরের চামড়া।
চন্দন ঘষতে পারিনি বলে।দাঁড়াতে পারিনি বাবুদের  কাতরে।
দুর দুর করে কুকুরের মতো তাড়িয়ে দিয়েছে।
ব্যাটারা পা টিপে যায় একবার, আর ফিরে তাকায়না।
বলে যায়, এবার বাসন ভরে মোটা চাউলের ভাত দেবো অমিনেষ।
ব্যালট বাক্স টেনে কাঁধের ছাল উঠেছে।
ভাগ্যের কহর উঠেনি।ভাগ্য খুলেছে ওদের।