একটি বীজ বপন করেছি
অঙ্কুর।
তার পর চারা গাছ।
তার পর আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন।
পারবে বাবা?
দেহের রসে বুকে পিঠে বড় হতে থাকে।
গাছটা।
ইউনিভার্সিটি  থেকে ফিরে,
স্বপ্ন ছুড়ে মারে আমার  দিকে।
প্রতিটি স্বপ্ন কুঁড়িয়ে তাকের উপর রেখে দেই
টিনের কৌটায়।
শঙ্কা  রাষ্ট্র নীতির  স্বপ্ন।
ব্যানারে। পত্রিকার পাতায় মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে।
সৌরভের ছবি।
ভালোই লাগে। অধিকার চাইতে শিখেছে ছেলেটা।
মনে হয় এবার কিছু হবে।


তার পরও নাড়ি ছেঁড়া ধন।
প্রায় দুশ আশি দিনের অস্বাভাবিক যন্ত্রনার।
  ও
কষ্ঠের ফসল।
সৌরভ।
আমার মাতৃত্বের স্বীকৃতি।
সৌরভের একই কথা, কাপুষের মতো জীবন পুষে লাভ কি, মা?


ঘুম ভেঙ্গে যায় মাঝ রাতে।
স্বপ্নের কৌটা গুলো উপুড়   হয়ে পরে আছে মেঝেতে।
শূন্য কৌটা আর শূন্য বাড়ি।
আমার চিৎকার কেউ শুনেনি।
নিথর সৌরভ।
বাড়ির পাশে নর্দমায় ।
রক্তের উপর ঝাঁকের ঝাঁক মাছি।পালাক্রমে।
গোড়ালির কাছে প্যান্ট কামড়ে টানছে কুকুর।
মানুষ ভীর করে তাই দেখছিল। ভোজবাজি খেলা।
সবুজ রংয়ের স্বপ্নের কৌটা বুকে ধরে, বলে ছিলাম।
কাপুষের মতো জীবন পুষে লাভ কি, বাবা?