আমি যেখানে যাই নিরব আগুন জ্বলে।
যে পথে  গিয়েছি দুর্বা পুড়ে তামাটে
বনের পাখি ও গান ছেড়ে উড়ে গেছে।
একবার একটি গোলাপ  আদর করেছিলাম।
পাপড়ি গুলো ঝরে গেলো একে একে।
আউশে পাকা শীষে  হাত রেখেছি বলে
ঢলে ভেসে গিয়েছিল সব।
মা আমার গলা টিপে বলেছিলো,
"তুই অলক্ষীনি, অভিশাপ। গর্ভে
খেয়ে ছিলি সিঁথী সিঁদুর।"
জোছনায়  ভেজা হয়নি আমার।
পথের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলাম
বহু দিন। চাঁদের দেখা পাইনি।
লুকায়ে ছিলো মেঘের আড়ালে।
অনীতদা বললো,
"ক্ষমা করো।"


ষোড়শীতে হাতে মেহেদী মেখে
স্বপ্ন বাঁধবো নিজের মতো।
শন  পাতার ছাওনির ।কি আর টিকে ?
ঘর পুড়ে গেলো আগুনে
দাউ দাউ আগুন, দিনে জ্বলে রাতে  জ্বৃলে
জলে উপর আগুন জ্বলে।
আগুনের আঁচে ঝলসানো দেহ মন।
আগুনে ছেকা নিয়ে  ফিরে এলাম।
মা মরলো।একা আমি নিখিলের নিখিলা।
বাড়ী ও টেকেনি বেশী দিন।নদীর ভাঙ্গনে।
ঝুর ঝুর করে মাটি ঝরে গেলো নদীর পেটে।
চোখে দেখি। জল আর জল


বেঁড়ি বাঁধে ডেড়ি তে শুয়ে শুয়ে চাঁদ
কত সুন্দর তুই! ইচ্ছে করে পাথর কয়লার
বুকে লুকিয়ে রাখি তোরে।
চোখ তো ঝলসে যাবে রে।নিখিলা।
হা আ হা। নিখিলা।হাসি পায়।
জলে জলে কবে খয়ে গেছে চোখ।
কত স্বপ্ন মুঠিতে ভরে দিতে চায়
মুঠি খুলিনি। ও স্বপ্ন নয় লালসা,পাপ।
শরীরের দেখে, অন্তরে পায় না কিছু
জানি।খুব জানি নিখিলা।


স্বপ্ন আমাকে গিলেই খেলো এক দিন।
হাতে ধরে ছুটতে থাকি, বদলাতে থাকে হাতের
পর হাত। সাদা হাত। কালো হাত।
কাচাঁ হাত।পাঁকা হাত।
নর্দমার এক জনের হাত পূর্ণ্য হয়ে এলো হঠাৎ
আবার সূর্য্য দেখতে পেলাম।
ঐ অন্ধকার থেকে যা হয়েছি....


মানুষ গুলো ছুটছে আর ছুটছে
একটা মানুষের সঙ্গে অন্য একটার মিল নেই।
এক জন আর এক জনকে চেনে না।
কারো হাতে কারো, কথা শুনার সময় নেই।
আজব শহর। মানুষের মাথা মানুষ খায়।
থমকে দাড়ায় নিখিলা রাস্তার মোড়ে মোড়ে।


নিখালা। রোজ ভাঙ্গে ইট। হাতুড়ির আঘাতে।
ভাঙ্গতে পারেনি নিজের বুকের পাথর।
চুইয়ে পরে নাকের নোলকে ঘাম।
পানের কহর পরা দাঁত বেরে করে ফিক  ফেলে
পানের চিপটি  আর ঘৃণা।