ওরে ও পুষ্পাকলি
আজও যে তোমার কথা বলি
মনের কোঠরে বেঁধেছিলাম বাসা
সেই আসা ভেঙ্গে দিলো কোন ঠাসা?
তোমার লিমন তোমারই ছিলো
কালবৈশাখী ঝড় এসে তাহা বিনাশ কোরিলো
আশায় ছিলাম আজও
পেয়ে যাবে গো সখী মনের কুঠরে খুজো।
একবার গিয়েছিলাম সদরঘাটে
দেখছিলুম দুই সাদা পরী দাড়ায়ে রঙ মাখে।
দু হাত ভরা বৈশাখী শাখে
দাড়িয়ে থাকে সেই তেলঘাটে নদীর বাকে।
মনে দোলা দিলো বুঝি প্রেমালাপে
একবার চাহে এ মন দেখা দিতে।
মন কাঁপুনি তখন কে দেখে
সে যে হাসে রঙ মেখে।
তাহার চাহনি আর মৃদু হাসি
আমি যে এটা ভালোবাসি।
এবার পড়লো বুঝি মোর গলায় ফাসি
তাইতো সদরঘাটে বার বার আসি।
সেই যে হারালো পাখি
আজও অজানায় খুজি
তবুও তাহারে না দেখি,
সে যে আমার প্রাণ সখী
নিজেই নিজের প্রলাপে বকি
শয়নেস্বপনে তাহারে দেখি।
মনের কুঠরে তাহার ছবি আকি
তবুও যদি জুড়ায় মোর অন্তঃ আখি।
আজও বাসা বেধে আছে পুষ্পা নামের পাখি।
মোহাম্মদ হাবিব বিন আব্দুস ছোবান।
(বহুত পুরানো -প্রেমের কবিতা)