ওহে রোমান্টিক বিপ্লবীরা!
ওহে ইসলামী গনতন্ত্র বিল্পবীরা
গনতান্ত্রিক মহা বিপ্লবী রাজনীতিকরা
বিপ্লব হবে কিভাবে তোমাদের দ্বারা!
ব্যাংকে সেভিংস আর ফ্রিজে খাবার ভরা।


বউয়ের আবদার মাসে মাসে শাড়ী
ছেলে মেয়ে বড় বড় স্কুল দিয়েছে পাড়ি।
মতিঝিল আইডিয়াল হোক কিংবা ভিকারুন
তাহাদের ছেলে মেয়ে পড়ায়ে সুখ পাচ্ছে নিদারুণ।
প্রতি বিষয়ে রাখিছে মাষ্টর মহাশয়
সুখী মহা সুখী এরা কি কোরে বিপ্লবের কথা কয়?


রীতিমতো আসা যাওয়া হচ্ছে আত্মীয় স্বজন
দাবি দাবা পূরণ তাদের পেট পূরে ভোজন।
ইস্ত্রি করা পরিপাটি পোষাক
ব্যবসা বানিজ্য সব ঠিক-ঠাক।
তবুও কেমনে শোনাও মোদের বিপ্লবের বাণী?
ওটা যে কাপুরুষজনোচিত ভাবসাব তা মোরা জানি।


তবে কেন উল্টো প্রকৃত বিপ্লবীদের মারছো টিটকারি?
প্রশ্ন করো তাদের কেন পত্রিকা বিক্রিকারী!
কেনই বা হেযবুত তওহীদের সনে তাগুতের
খবর নাহি রাখিলো ভ্রাতৃত্বের?
স্বজন প্রীতির লগে সম্পর্ক নাই,
একবার কি করেছো তাহা যাচাই?
কেনই বা মাতা পিতা শাসন-বারণ শোনেনা,
প্রভু তো তাদের হুকুম মানতে কইছে তারা কি বুঝেনা?


ওহে রোমান্টিক সুবিধাবাদী বিপ্লবীরা!
রোমান্টিক ভাবে আজি নয়তো এরা।
এরাতো মিথ্যে খ্যাতি কুড়ানোরর মত্ত নয়,
তোমাদের প্রশংসার দিকে চেয়ে কি অজ্ঞান হয়?
তোমাদেরই কথায় তবুও কেন কান দিবে সে?
সে তো সত্য বিপ্লবে দুঃসহ বন্ধুর পথে নেমেছে।
ওরে ও চেয়ে দেখো তারা মিথ্যে বলেনা
সত্যিকার বিপ্লবে ওসব যে আর চলেনা।


সত্য বিপ্লবে ছেলে মেয়ে প্রশ্ন নাহি
অতীত ইতিহাসে তাহাই তো মোরা দেহি।
গুরুজনেরা বলিয়া গিয়াছেন-
       দুনিয়াতে যাহা চির কল্যাণকর
অর্ধেক তাহার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তাহার নর।


কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরনে যাহারা কাম কোরে স্বেচ্ছায়,
তাহাদের পোষাক আশাক আর কালিমা চেহারায়
ক্লান্তি ও ঘাম দেইখা ছোট ভেবে কে নাক ছিটকায়?
যুগে যুগে সত্য বিপ্লবীরা এমনি তো ছিলো দীক্ষায়।


তাহা যেই বিল্পবী হোক না,
বিপ্লবীর ঘর বাড়ি থাকে না।
থাকেনা আরো সাজানো সংসার
ঘরে থাকেনা অবিনয় অলংকার-
স্টার প্লাস কিংবা স্টার জলসার।
অবিনব কায়দায় মোড়ানো গহনা তাদের
নাদুসনুদুস বউ মারকা চেহারাটা যেন চাদের।


এদের পানে চাইয়া দেখো নাই যে কিছু তাদের।
সম্পদ নাহি জমা ডিপিএস নাই কষ্ট একমুঠো ভাতের।
সংসারী আরাম আয়েশ আর প্রিয়ারা হাসি
এদের ভাগ্যে কি তাই! এরা লয়ে ঘুরে দ্বীনের বাশি।
এদের মাঝে আরো রহিয়াছে কারন
সন্তানের অভাব আর করিতে পারেনা পূরণ।
আত্মীয় স্বজন? সেতো চিন্তার বাইরে
যোগান দিবার লাগি পয়সা কুড়ি তার নাইরে।


পারেনা তো এরা ক্যারিয়ার গড়িতে
আরো পাড়েনা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হোয়ে পয়সা কামাতে।
ওহে নামধারী শোন ওসব যে বিপ্লবের অন্তরায়!
আজি দেহি কাপুরুষের ছাপ তোমাদের চেহারায়।
প্রিয় রসুলের আদর্শ কি রকম মানো?
আম্মা খাদিজার সম্পদ কি ছিলো তাহা জানো!
কয়েক বছরের ব্যবধানে তাহা কোথা গেলো?
এটুকু বুঝ না কেনো বিপ্লবে সম্পদ কি এলো!


মহাবিপ্লবে তাহারা সম্পদ হারা হইলো
আজিকে আমি দেখছি তোমাদের উল্টো সম্পদ আইলো।
তাহা হইলে রসুলের বিপ্লবে সাহাবীরা কেন পথে নামিলো?
ধনী কেন ফকিরের ন্যায় তহন জীবন যাপন করিলো!
অসহায় আছিল তহন অনেক থাকিতো রসুল কে ঘিরে,
দাস-দাসী নিপীড়িত জনও সেই অতীতে ফেরে।
সেকালে ধনী সাহেবও রসুল কে চিনিলো
লেকিন তাহাতে কি নিচে আসিতে লজ্জায় পড়িলো?
সেখানে যে গরীবেরা আছিল,
তাহাই কি তাহারা বিপাকে পড়েছিল?


আজিকেও তাহাই দেখি হেযবুত তওহীদের প্রতি,
যাহা হয়েছিলো রসুলের সময়ের গতি।
আজি তাহাদের ঘরে নাহি ইস্ত্রি করা পোশাক
চেহেরায় তাহাদের ঘাম গন্ধ ফেলেন খাক-থুথু-খাক?
কেন হইলো এভাব তাদের তাহা কি জানেন?
এই যুগে তাহারা হালাল উপার্জন কোরে চোলেন।


দুই নম্বরী পথ থাকিলেও খোলা
তাদের মত মোরা বসাইনা মেলা।
তাহাকে মোরা দুপায়ে মাড়াই
ওসব পাল্টাবো বলে নতুন নিখিলে দাড়াই।


একবেলা কায়িক শ্রম কোরে খাই
পুঁজিবাদী অর্থনীতি জোয়ারে ঘৃণা জানাই।
ছোট খাট ব্যবসা কোরে পেট খানা চালাই,
বাকি সময় যাহা পাই তওহীদের কাজ কোরে বেড়াই।
তাহার জন্যই তো ভাই ওদের তেলতেলে চেহেরা নাই,
এভাবেই মোরা সত্যের আহবান মানবের তরে পৌছাই।


তোমাদের ঐক্যের আহবান জানাই,
প্রশ্ন করো মাইয়ারা পত্র কেন বিলায়?
যাহা তোমাদের ছিলো কাম তোমরা আজ অবহেলায়
তাই এদের বের হওয়া মানবের তরে একটু সত্যের আশায়।
সত্যের কাম ছেড়েছো যেদিন
নিজেদের ফতোয়াবাজীতে ভাগ তোমরা সেদিন।
আজিকে মোল্লার ফতোয়ায় এসলাম ধবংসের শেষ
মতভেদ বিভক্তি কুসংস্কার চেপে ধরেছে অবশেষ।


থাকিতো পারোনা এক বিছানায়
বিশ্বাসী হোয়েও এক আল্লাহয়
এক আল্লাহ রসুলে বিশ্বাস হলেও এক হওনা কেন তোমরা?
কেন এতো মাতামাতি তোমাদের ঐক্যের নাই বেড়া।
আজিকে এ অনৈক্যের দুয়ারে কেহ যদি হয় আগুয়ান
তাতে তোমাদের কি হলো গাত্র জালা ওহে মহা মহিয়ান?


তাহারা কি তোদের প্রতিযোগী?
আজিকে যে তারাই বিপ্লবীগণের সহযোগী।
জাতির আধা ভাগই নারী
ঘরে বন্ধী না কোরে পড়াও লোহার শাড়ী।
কেমনে পারো তাহাদের ঘরে বসিয়ে?
শত্রুর নারীকে রাখেনি বদ্ধ আসছে তারা ধেয়ে।
কিসের দোহাই আজি তোদের তাহাকে নিয়ে
জাতির আধা শক্তি রাখছো কেন ঘরের কোণে আটকিয়ে?


নারীরা সৌন্দর্যের উতস
প্রকৃতিতে কোমল স্বভাবের ভেষজ।
নয়া কলি দিয়া কি কঠিন শ্রম মানায়?
তাহা পুরাপুরি সক্ষম তো নয় সুন্দর আভায়।
তাহারে সাজাইয়া গোছাইয়া রাখিবার
সুন্দর কলিতে সকাল সন্ধায় ফুটিবার।


বসে কি থাকা যায় নারী কে বিপদের পথে দেখে,
এ নিখিলে অসভ্য এক ব্যবস্থা কায়েম রেখে?
দু চোখ কেমনে দেখে হায়েনাদের হাতে ধর্ষিতা হোতে
অক্ষমতা লয়ে কাপুরুষের মত বসে লাভ কি তাতে?
ওহে নামধারী আগে সভ্য সমাজ কায়েম করো
পরে আইসে তাহাদের খাঁচায় ভরো,
এবার ইঞ্জিনিয়ার হোতে পারো
বিজ্ঞানের সব শাখায় হাল ধরো।
কবিতা, ছড়ায়ে কবিবেশে প্রানটা ভরো।
ডাক্টারী হইয়া মানতার কল্যান করো।


নয়তো কি জুটিবে তোমার কপালে
ইঞ্জিনিয়ার হইয়াও বউ ধর্ষিতা মান গেলে?
আইনজীবী হইলেও মেয়ে তার ধর্ষিতা
রাজনৈতিক নেতা গুম খুন সব যে গেলো বৃথা।


তাহা কে আছে রোধিবার এ সমাজে
যত বড়ই পুলিশ কর্তা হোক না আর মহা বাজে?
ভন্ডামী বাদ দাও এবার তোমার কবর তুমিই রচনা করেছো,
রোমান্টিইজম দিন দিন তুমি যে গড়েছো।
এখন চিন্তা করো প্রকৃত বিপ্লবে দেবে যোগ
নাকি পিছন ফেরে পীঠ দেবে,না দিয়ে বুক?


শেখ মোহাম্মদ হাবিব বেন আব্দুস ছোবান। (অনেক লম্বা ১৩৯ লাইনের কবিতা) (তাং - ১৯/৬/১৪ ঈসায়ী)