*************************************
            অন্ধকারে নিষিদ্ধ পল্লীতে এসেছি কতবার
          মালতী রমলা সুধা  আমাকে বলেছে বার বার
        অধিকারও দিয়েছে ওরা ধুয়ে দিতে বেদনার ভার ।
                      বলেছি শোন মালতী
    শিশিরের জল দিয়ে ক্লান্ত স্তন ধুয়ে যাবো ,লিখে দেবো সতী ।


       সুসভ্য মানুষ যারা ফেলেছে দেহের ঘ্রাণ তোদের পল্লীতে
        তোদের দেহ ভোগ করে মিশে গেছে তারা উজ্জ্বল প্রভাতে
        সেই সব শকুন সব খেয়ে বেশ্যা নাম দিয়ে গেছে রাতে ।
                        সময় এসেছে এবার
       মুছে দেব সেই নাম ,ভেঙ্গে দেব ঘৃণার সেই রুদ্ধ কারাগার ।


        তোদেরও যে নিষ্কলুষ মন আছে কেউ বলেনি সেকথা
      হেরে যাওয়া জুয়াড়ির মতো সর্বস্বান্ত হয়ে দিয়ে গেছে ব্যথা ,
কে জেনেছে দেবীর মতোই তোদের হৃদয় গভীরে নেই  কলুষতা
                           মিছে কেন ভয় ?                          
    আজই’ বেশ্যালয়’ নাম মুছে দিয়ে করে যাবো 'দেবীর আলয় ' ।
    
        শোন মালতী রমলা সুধা , শোন আমার বুকের কাছে বসে
  যে সব শকুন তোদের দেহ চিরে  থুতু দিয়ে গেছে অন্ধকারে এসে
        তারা কি মানুষ ? রাখেনি মনের খোঁজ প্লাবনের শেষে ।
                    তোদের নিষ্পাপ হৃদয়
       পূজা করে চলে যাবো করবো না মনে কোন ভয় ।


     'বেশ্যালয় ' মুছে যাবে 'দেবীর আলয় ' হবে অন্ধকার গলি
        সেঁটে দেবো  আলোর নোটিশ আমার হৃদয় দ্বার খুলি
      যেদিন আসবে নেমে তোদের ক্লান্ত দেহে ধূসর গোধূলি
                        দেখবি তখন সন্ধ্যায় ,
   কোন এক পাগল দেবতা তোদের মনের মন্দিরে শুধু গান গায় ।


**************************************  **********