কাশিমপুরের শেষ বাসটাও বেরিয়ে গেলো।
বসন্তের বিকেল টা সাক্ষী।
কোথাও উড়ছে না এলোচুল,ওড়না-
ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে নিশ্চুপ।
বসন্তের বিকেল টা সাক্ষী।
সন্ধ্যা নামল একটু পর,
বাড়লো নিস্তব্দ্ধতা-ছেলেটা এখনও দাঁড়িয়ে-
শুনশান বাসস্টপ সাক্ষী।
মেয়েটা এতক্ষণ কাশিমপুর
নয়তো পলাশগঞ্জের পোলটা পেরিয়েছে।
বাসের কন্ডাক্টর সাক্ষী।।
সে অনেকদিনের গল্প।
মাথার ওপর তখন গনগনে সূর্য।
মেয়েটা দাঁড়িয়ে একা-চোখে একরাশ স্বপ্ন।
দূরে আসিফমিয়ার চায়ের দোকান থেকে
ভেসে আসছিল -"ভিগে হোঁঠ তেরে,
প্যায়াসা দিল মেরা।"-
আর কয়েকটা রক্তলোলুপ চাহনি।
তাদের ক্ষুধা মিটলো যখন
সূর্য গেছে অস্তাচলে,
শুনশান বাসস্টপ-
ঝিঝিপোকারাই শুধু সাক্ষী।
এলোচুল এলোথেলো,রক্তাক্ত ওড়না-
রক্তাক্ত দুচোখের স্বপ্ন।
নিস্তব্ধ রাতখানা সাক্ষী।
সাক্ষী ছিলো আরেকজোড়া চোখ-
কিছুটা দূরে-একটা প্রতিবাদী কন্ঠ।
কিন্তু প্রতিবাদী কন্ঠটা চড়া হলো না।
ভোজালির কোপখানা সাক্ষী।
তারপরের গল্পটা লড়াইয়ের-
নিজের সঙ্গে নিজের লড়াইয়ের।
কাশিমপুরের শেষ বাসটা আজও
মেয়েটার নিত্যদিনের সাথী।
ছেলেটা বোধহয় আজও দাঁড়িয়ে আছে দূরে
বসন্তের বিকেলের অপেক্ষায় -
কাশিমপুরের শেষ বাসটা সাক্ষী।