খেয়ালী চোখে, কাজল এঁকে
আজ, তন্দ্রাচ্ছন্ন তুমি,
আনন্দেতে দেখছ বসে –
ক্ষুধার জ্বালায় হচ্ছি কঙ্কাল,
মরছি ধুঁকে ধুঁকে.......
হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণে আজ, অর্ধমৃত আমি ।

কোটি টাকায় গড়েছ তুমি বহুতল
বিলাসী প্রসাদ....
দারিদ্রের সীমারেখায় বন্দি হয়ে -
আমি ক্ষুধার্ত, আমি অনাহারী ।

তোমার রঙ্গমহলে বাহারি খাবার
ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট লয়ে,
কাক, কুকুর-আমি একসাথে -
ডাস্টবিনে অন্নে'র জন্য লড়ি ।

বিলাস বহুল প্রাসাদে তোমার বুকে –
আনন্দেতে খেলে, তোমার আদরের দুলালী,
আমার ছোট্ট মেয়েটি –
তোমার ঘরেই গতর খাটে দিন-রাত ।

শখের বসে পর তুমি, রঙ'বেরঙের সুট-টাই
আমি ছেড়া কাঁথা গায়ে, কোনরকম শীত কাটাই,
প্রাচুর্যে তোমার জীবন গড়া,
বুঝবে না তুমি, গরীবের হৃদয়ের জ্বালা ।

হে ধনী ! তুমিও মানুষ আমিও মানুষ
একই রক্ত, একই প্রাণ,
তবে কেন গরীব–ধনীর
এতো ব্যবধান ?

একদিন হয়তো রবে না আর এ ব্যবধান
ধনীর তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুম ভাঙবে একদিন,
ধনী-গরীবের অধিকার হবে সমান ।

সৃষ্টিকর্তা তোমার কাছে, প্রার্থনা হাজার বার
শীঘ্রই আসুক পৃথিবীর বুকে সেই শুভ দিন ।

রচনাকাল : নভেম্বর / ২৯