এইতো সেদিন আমার চার চাকা গাড়ি টা নিয়ে যখন যাচ্ছিলাম,
হঠাৎই সামনের গলি থেকে তুমি বেড়িয়ে এলে।
তোমার সেই পুরনো লাল পানা স্কুটিটাতে,
পরিহিতা সেই পুরনো দুধ সাদা জিন্স আর গোলাপী কুর্তিতে।
তোমায় দেখে আমার শরীর শিহরিত হলো,
আমি দ্বিধা না করে তোমার পিছু নিলাম।
স্কুটিটা তুমি আজও সেই আগের মতই জোরে চালাও,
সেই মতো গাড়ি টা আমি জোরে করলাম-
হয়তো তোমায় টপকে সামনে আসার চেষ্টা!
কিন্তু এতো ভিড়ে সেটা হচ্ছিল না,
কাছা কাছি হয়েছি বেশ কয়েক বার।
তোমার ঐ চাঁদ পানা মুখটা সামনে থেকে দেখার খুব ইচ্ছা।
পিছন থেকে দেখা চেহারাটা বদলায়নি এতটুকু,
মুখ খানি ঢাকা ছিল হেলমেট এ,
তাই চেষ্টা করলেও ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।
হঠাৎই তুমি ওই পুরনো পেট্রোল পাম্প টাতে দাঁড়ালে,
আমিও একটু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে-
আড়চোখে তাকিয়ে তোমায় দেখার চেষ্টায় রত।
সেই- সেই পুরনো রিং টোনটা বাজছিল তোমার ছোট্ট মোবাইল এ,
তুমি সেটা আঁটা সাঁটা পকেট থেকে বারকরলে।
সেই চেনা মধুর কণ্ঠ স্বরে উত্তর দিলে, হ্যাঁ বলো! কোথায় তুমি?
কথা বলার ধরণ টা এখনো পাল্টায় নি,
আমাকে যে ঠিক এমন ভাবেই ডাকতে!
ভাবলাম কারো জন্য হয়তো তুমি অপেক্ষায় এসেছ।
তুমি বলেছিলে আমাকে তোমার স্বাদ টা যে বড্ড বিচিত্র,
এ মুহূর্তে সেটা সত্যি উপলব্ধি করতে পাচ্ছি।
আমি ভাবলাম তুমি পুরনো স্মৃতি ভুলে ভালোই আছো!
আমি যে ছিলাম কয়েক টা বছর তোমার সুখ দুঃখের সাথী।
আজ তোমার হয়তো নতুন মানুষ, নতুন মন,  নতুন শরীর।
হয়তো তোমায় ভালোই মানাবে কারন তোমার পছন্দ টা আমার জানা।
মন চঞ্চল হলো এতো কিছু দেখে ভাবার পর।
তাই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না,
ইচ্ছে হলো যাই তোমার সম্মুখে গিয়ে জিজ্ঞেস করি-
কেন তুমি এভাবে - - - - - -
না হলনা বলা যখন তোমার সম্মুখে এলাম।
তুমি হেলমেট টা খুলতেই আমার সব যেন কেমন পরিবর্তন হয়ে গেল।
একি! এ যে অন্য কেউ, এমন মিল- এমন ভুল হয় কি করে!
ততক্ষণে অন্য গাড়িদের শব্দে আমার যাত্রা আবার শুরু হলো।।