মাতা-পিতার চার ধুরন্ধর সুপুত্র
তাদের রূপ দিতে উপযুক্ত পাত্র ,
রাতদিন খাটে, মা-বাবার ঘাম ছোটে !
জীবনে পায়নি শান্তি, না -সুখ মোটে ৷


সময়ে সব পুত্র সক্ষম লায়ক
এক-এক জন- যেন মহারথী, নায়ক !
কেউ উকিল, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,
ছোটটা মেধাবী, সে- কালেকটার !


ঘরসংসার পেতেছে জাঁকজমক করে -
বৃদ্ধ মা-বাবা সেই অজপাড়াগাঁয়ে পড়ে !
ছেলেরা বন্ধুদের সনে, গল্পে বলে-
মা-বাবা গ্রামে আছেন রাজার হালে !


একা, এক ভাই যা পয়সা দেয় -
খেয়ে পারে না ! করে অপচয় ৷
কেহ না এক, দেখিবে অবশ্য ,
মাত্র দু’টি তো তাঁরা পোষ্য !


আমার ভাগটা, কক্ষনো চায় না -
দিতে চাইলে, করে দেয় মানা !
দাসদাসী, চাকর ঘরে, সে কী ঠাট !
তারা হামেশা দেখে, সারে বাজার-ঘাট ৷


আমি না দেখিলেও ওঁরা খুব খুশী ,
দিব্যি আছেন আরামে চিন্তা করিনা বেশী !


যদিও বাস্তব, মা-বাবা পায় না ভরসা ,
চায় সন্তান সান্নিধ্য, মনে বড়ো আশা ৷
ছেলেরা খোঁজ নেয় না, থাকে বাহিরে ,
চার এর কেউ রাখে না আদর করে !


অগত্যা মা-বাবা নিজ গ্রামটাই ভালবাসে ;
যেয়ে বা কি করবে, টিকিবে পরদেশে ?
মা-বাবা সর্বশান্ত ! পুত্রের ভবিষ্যৎ গড়ায়-
বসে দাওয়ায়, হা-হুতাশ, গভীর ভাবনায় !!


(ইং-২৮-০৫-২০১৭)