হে রবি ! শতকোটি প্রণাম তোমার শ্রীচরণে ,
এনে ছিলে মহতী পরাণ পঁচিশে বৈশাখ , সুভক্ষণে ;
জাগতিক জ্ঞান ,সাহিত্যকলা , বিজ্ঞান  ,দর্শন
জাতিরে ভরো বিপুল জ্ঞানশিক্ষার রসদ ,
অমৃতসম ছন্দ, গান ,ভাবমাধুর্যে শিক্ষণীয় মহাসম্পদ ।
বাংলা ভাষারে জাগালে নবজোয়ারে প্রাণ ,
বিশ্বদরবারে উপনীত করে ,বাংলাভাষায় গাইলে জয় গান ।
বলে গেছ চেতনার মহামূল্য বাণী –
“হে মুগ্ধা জননী, -
সাতকোটি সন্তানেরে রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করোনি” ।


তুমি চেয়েছিলে গৌড় বাংলার মহান একতা
ঝাণ্ডাহাতে পথে নেমেছিলে, ‘কার্জনকে’ করে তীব্র বিরোধিতা !
রাখী বন্ধনে, পবিত্র সুতোয় বাঁধলে সবার হাতে হাতে ,
বাঁধলে পবিত্র একতায় জাতিকে- ভালোবাসার সাথে ।
হে কবিশ্রেষ্ঠ বিশ্বকবি ! দেখি না জাগতে তব মত মহান ছবি
নবজাগরণে দীপ্ত ত্যেজে পুনঃ উদিত হও, হে- রবি !!


(০৭-০৫-২০২৩)
লর্ড কার্জন, ভারতের ভাইসরয় , ১৯০৫ এ বাংলাকে দু’ভাগে ভাগ করে- হিন্দু মুসলিম হিসাবে । আসলে ভারতের মূলকেন্দ্র ছিল বৈপ্লবিক আন্দলোনের গড়-বাংলা ।
কবিগুরু সব জাতির হাতে রাখি বেঁধে গাইলেন , “বাঙালির ঘরে যতো ভাই বোন এক হও” । সমস্ত বাংলার নেতা এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন । ভারত ব্যাপী স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয় । নজরুল গাইলেন, “একই বৃন্তে দু’টি ফুল -হিন্দু মুসলমান” ।
আন্দোলনে পাঁচ বছর পর বাংলাকে জুড়তে বাধ্য করে ।
গৌড়-বাংলা > ওড়িষা, ঝাড়খন্ড, বিহার, মনিপুর, ত্রিপুরা, আসাম ,বাংলা নিয়ে -বলা হ’ত ।