ঈশ্বর অনুভূতি অনুভব বাস্তবে মেলে
যদি কিনা অশেষ ধ্যানে সাধনা চলে ,
এর বিচার মীমাংসা সংসারে আছে
দেখি না মতিগতি তার ধারে কাছে ।
মাথায় ভরেছ কিছু কালি-ঝুলি-ধূলো ,
তা নিয়ে জ্ঞানেতে দেখাও শুধু নুলো !
এও বলা- মানে , ভাঙ ধৈর্যের বাঁধ
জ্ঞানেতে অন্তঃকরণ শূন্য- অগাধ ।


মন যদি না হয় খোলা,-মুক্ত বিচার
কোন কাজে আসে না, সে শুদ্ধাচার ।
সরলতায় সুমনে, যতো ভাব ভলা
মন হলে ধোঁয়াটে , সব হয় নিস্ফলা ।
আগে মনকে গড়ো স্থির শুদ্ধবান ,
পরে আহরণ করো জাগতিক জ্ঞান ।
ধৈর্য ধরো অসীম, বুঝতে বাস্তবতা
কতটা কাজের হবে যুক্তিযুক্ত কথা ।


আমি প্রভু , ভগবান , কোথা মম স্থান ?
তোমরা বৃথা কথায় দিচ্ছ শুধু কান !
আমার কথা চিরতরে যা কিনা খাঁটি  
সময়ে গলদ হৃদায়ঙ্গম, কর সব মাটি ।


আমি নিরাকার কেহ দেখে না আমায়
সবে মননে মোরে, ভাসে শুধু মায়ায় ,
আমার রূপ নেই, না পারি দর্শন দিতে
আমি আদিম পুরাতন এ বিশ্ব জগতে ।
যখন সৃষ্টি হয় নি বায়ু-জীব-জল-মাটি
আমি ছিলাম দীপ্ত, তখনও পরিপাটি ,
কি ছিল মম নাম ? কে ডাকিত মোরে ?
আমি- আমিই ছিলাম, সে অতীত ভরে ।
বিশ্ব যখন আমার সৃষ্টি , জগৎ-সংসার
আদি অতীত মহিমা কতটুকু জান তার ?
অজানা এখনো সে নাম , ঠিক তাই
কারো এ জগতের এখনো জানা নাই !


  (২৭-০৬-২০২২)         (ক্রমশঃ)
খুবই জটিল কথার উপর এ কাব্য সিরিজ লেখা , ঈশ্বর নিয়ে লেখা কঠিন কাজ , তবে তার আশেপাশে বলতে চেয়েছি ,যদিও রূপক ভাবনায় বলা । কারো মনে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য নয় , এ আমার নিজ মত ।