সময় এসেছে সব তুচ্ছ হীনতা ঝেড়ে
সবে সবার হিতে দাও মন কর্ম ভরে ,
একবার হয় জন্ম সৃষ্টি কর্তার, স্থির রূপ ,
তাঁকে নানা রূপে যুগে যুগে গড়ো খুব !
প্রেমে যে ডাকে আর না ডাকে আমারে
কর্মে সামলে রাখি , বিপদে- সদা তারে ,
মানুক আর না মানুক, আমার ভেদ নাই
সংসার মাঝে তাকে রক্ষা করি সদাই ।


সামান্য তরু, ক্ষতিতেও দানে সে ফল
পুকুর নিজে শুখিয়ে, বিলায় সব জল ,
কাষ্ঠ পুড়ে-রন্ধনে সহায়ক অন্ন-ব্যাঞ্জন
অনিষ্টে কারো শ্রাব দেয় না সে সুধীজন ।


মঙ্গলে সবার দায়িত্ব নেই মাথা পেতে
বোধশক্তিতে যতোটা যে বোঝে বুদ্ধিতে ,
এ সব নিয়ে মোর মনে না ক্ষোভ ক্ষত
আমার কাজ সকলকে সমানে দেখা যত ।
তবেই তো আমি ভিন্ন অন্য পক্ষ থেকে
এ সত্য কথা জ্ঞানে- বুঝাই আজ কাকে ?


আদি অতীতে আঁধার যুগের মানুষ
তখন ওদের জাগেনি কোন জ্ঞান-হুশ  
আদিতে অবুঝ ছিল ঈশ্বর আরাধনায় ,
চিরদিন সরলে ক্ষমা করি মম চেতনায় ।
এই দূরদর্শিতায় র্আমি আলাদা- সর্বশ্রেষ্ঠ
যুগে-যুগে লাঘব করি সমানে সবার কষ্ট ,
পক্ষপাত যদি আমার মধ্যে বাসাবাঁধে
আমি এক হেয় মত রূপকার হব অবাধে ।


  (২৭-০৬-২০২২)         (ক্রমশঃ)
**ভেদ > ভেদাভেদ, পক্ষপাত । বিলায় > বিলি করে, দান করে ।
শ্রাব > অভিশাপ । হেয় মত > অবহেলিত , তুচ্ছমত ।
খুবই জটিল কথার উপর এ কাব্য সিরিজ লেখা , ঈশ্বর নিয়ে লেখা কঠিন কাজ , তবে তার আশেপাশে বলতে চেয়েছি ,যদিও রূপক ভাবনায় বলা । কারো মনে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য নয় , এ আমার নিজ মত ।